ফিচার

পুরো শরীরে ট্যাটু করতে খরচ করেছেন ২৫ লাখ টাকা

দুই পায়ের তলা বাদে পুরো শরীরে ট্যাটু দিয়ে ভর্তি। এটাই তার নেশা। গত ২০ বছরে শরীরে মোট ৮৬টি ট্যাটু আঁকিয়েছেন তিনি। তার শরীরের ৯৮ শতাংশই ট্যাটু বা উল্কিতে ভর্তি।

Advertisement

৭২ বছরের উল্ফগ্যাং কির্শ জার্মানির সবচেয়ে বেশি উল্কিধারীর স্বীকৃতি পেয়েছেন। বার্লিনের অবসরপ্রাপ্ত ডাকঘরকর্মী ১৯৮৮ সালে তার চোখের তলায় ছোট দু’টি ট্যাটু করেন।

তিনি জানান, পোস্ট অফিসে চাকরিরত থাকাকালীন শরীরে ট্যাটু করাতে পারেননি। তবে সে ইচ্ছে তিনি পূরণ করেছেন ৪৬ বছর বয়সে। চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পর তিনি শরীরে ট্যাটু করানো শুরু করেন।

আর এ ট্যাটুর কারণেই তিনি আজ বিখ্যাত বনে গেছেন। তিনি নিজেকে ‘ম্যাগনিটো’ বলে পরিচয় দেন। উল্ফগ্যাং জানান, শুধু ট্যাটুর কারণে তিনি এতটাই জনপ্রিয় যে রাস্তায় বের হলেই অটোগ্রাফ দিতে দিতে ক্লান্ত হয়ে পড়েন।

Advertisement

শরীরে ৮৬টি ট্যাটু করতে এ পর্যন্ত তিনি ২৫ হাজার ইউরো খরচ করেছেন। যা বাংলাদেশি টাকায় ২৫ লাখেরও বেশি। এ উল্কিধারী সূচের নিচে কাটিয়েছেন জীবনের ৭২০ ঘণ্টা।

শরীরের বেশ কিছু স্থানে তিনি অলঙ্করাও পড়েন। গলা, আঙুল, হাতের তালু, ঘাড়, বুক, পেট, মুখ কোনো স্থানই বাদ যায়নি ট্যাটু থেকে। শুধু পায়ের তলা বাদ আছে। ভবিষ্যতে সেখানেও ট্যাটু করাবেন বলে জানান তিনি।

বর্তমানে জার্মানিতে বেশ জনপ্রিয় এক নাম হলো ম্যাগনিটো। তিনি এখন ব্যস্ত থাকেন মডেলিং ও ফটোশ্যুট নিয়ে। অবসরের পরের জীবনকে ৭২ বছর বয়সী এ ব্যক্তি বেশ উপভোগ করছেন বলে জানান।

গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড অনুসারে, বর্তমানে বিশ্বের সর্বাধিক উল্কিধারী ব্যক্তি গ্রেগরি পল ম্যাকলারেন। তিনি নিউজিল্যান্ডের নাগরিক। লাকি ডায়মন্ড রিচ নামেও পরিচিত তিনি। ম্যাকলারেন তার পুরো শরীরে ট্যাটু করাতে ১০০০ এরও বেশি ঘণ্টা ব্যয় করেছেন।

Advertisement

ডেইলিমেইল/জেএমএস/এএসএম