আন্তর্জাতিক

মহামারির সময় বাংলাদেশে শিশুমৃত্যু বেড়েছে ১৩ শতাংশ : জাতিসংঘ

করোনাভাইরাস মহামারির কারণে স্বাস্থ্যসেবা বিঘ্নিত হওয়ায় ২০২০ সালে বাংলাদেশে শিশুমৃত্যুর হার ১৩ শতাংশ বেড়েছে। জাতিসংঘের এক সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

Advertisement

প্রতিবেদনে দক্ষিণ এশিয়ার কয়েকটি দেশের স্বাস্থ্য পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। দেশগুলো হলো- বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, নেপাল, ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা।

‘কোভিড-১৯ মহামারির প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্রভাব এবং প্রতিক্রিয়া’ শিরোনামে প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে এসব দেশের স্বাস্থ্যসেবা, সামাজিক সেবা, স্কুল ও অর্থনীতি প্রভৃতি ক্ষেত্রে সরকারগুলোর নেয়া কৌশলের কেমন প্রভাব পড়েছে তা খতিয়ে দেখা হয়। প্রতিবেদনে যেখা যায়, স্বাস্থ্যসেবা বিঘ্নিত হওয়ায় নারী, শিশু ও কিশোরীরাই এ সময় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এই দেশগুলোতে করোনার কারণে চিকিৎসাসেবা বিঘ্নিত হওয়ায় মোট ২ লাখ ৩৯ হাজার মাতৃত্বকালীন মৃত্যু ও শিশুমৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুর মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ২৮ হাজার।

Advertisement

এতে বলা হয়, গত বছর বাংলাদেশ ও নেপালে গুরুতর অপুষ্টিতে আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসা দেয়ার হার কমে গেছে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত। ভারত ও পাকিস্তানে শিশুদের টিকা দেয়ার হার কমেছে যথাক্রমে ৩৫ ও ৬৫ শতাংশ।

এতে আরও বলা হয়, ২০২০ সালে ভারতে শিশুমৃত্যুর হার বেড়েছে ১৫.৪ শতাংশ। শ্রীলঙ্কায় মাতৃত্বকালীন মৃত্যু বেড়েছে সবচেয়ে বেশি- ২১.৫ শতাংশ। এরপরেই রয়েছে পাকিস্তান- ২১.৩ শতাংশ।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, এসব দেশে ৩৫ লাখ অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণের ঘটনা ঘটেছে যার মধ্যে চার লাখ কিশোরীও রয়েছে। মহামারির সময় জন্মনিরোধক সামগ্রীর দুষ্প্রাপ্যতার কারণে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়।

দক্ষিণ এশিয়ায় এখন পর্যন্ত প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৮৬ হাজারেরও বেশি।

Advertisement

স্বাস্থ্যসেবা ব্যহত হওয়ায় এই অঞ্চলে মহামারির সময় অতিরিক্ত ৫ হাজার ৯৪৩ টি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। যক্ষা, ম্যালেরিয়া, টাইফয়েড, এইচআইভি/এইডসের মতো গুরুতর রোগের চিকিৎসা যথাযথভাবে না পাওয়াই এসব মৃত্যুর কারণ।

সূত্র : বিবিসি

এমকে/এএসএম