বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ড. আরিফ আলভি। তিনি বলেছেন, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কোন্নয়েন তার দেশ যেকোনও ধরনের সুযোগ অবলম্বনে আগ্রহী। খবর ডনের।
Advertisement
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ১৭ মার্চ থেকে ১০ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালা উদযাপন করছে বাংলাদেশ। এ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আমন্ত্রণ পেয়েছেন ভারত, নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপের সরকারপ্রধানরা। তবে সেই তালিকায় নেই পাকিস্তান। এ অবস্থায় বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত ইমরান আহমেদ সিদ্দিকীকে ডেকে পাঠায় তার দেশ। গত মঙ্গলবার সিদ্দিকীকে নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন পাকিস্তানি প্রেসিডেন্ট। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী বিষয়ে আলোচনার জন্যই তাকে ডাকা হয়েছিল বলে জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডন।
নিজেদের ওই বৈঠকে প্রেসিডেন্ট আলভি বলেছেন, পাকিস্তান বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে অত্যন্ত মূল্যবান ভাবে এবং বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক কার্যকৌশল ব্যবহার করে সহযোগিতা বাড়াতে আগ্রহী।
এসময় বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে পাকিস্তান কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে, সে বিষয়ে প্রেসিডেন্টকে অবহিত করেন রাষ্ট্রদূত সিদ্দিকী।
Advertisement
বলা হচ্ছে, এক্ষত্রে গত বছর গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন হয়েছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূত। এছাড়া, বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য পাকিস্তানি ভিসায় সবধরনের বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ে আলোচনা ও যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের মতো একাধিক দ্বিপাক্ষিক কার্যকৌশল রয়েছে। তবে অনেক বছর ধরেই এর বেশিরভাগ কার্যক্রম বন্ধ।
গত ১২ বছর ধরে বন্ধ থাকা পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ে আলোচনা অদূর ভবিষ্যতে আবারও শুরু হবে বলে আশা করছে পাকিস্তান।
বৈঠকে বাংলাদেশে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়নে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন পাকিস্তানি প্রেসিডেন্ট।
Advertisement
তিনি ‘দুই দেশের স্বার্থে’ বাণিজ্যিক সম্পর্ক, ব্যবসায়িক সহযোগিতা ও ব্যক্তিপর্যায়ে যোগাযোগ বৃদ্ধিতে গুরুত্বারোপ করেন। পাশাপাশি সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিকসহ ক্রীড়া ক্ষেত্রেও সহযোগিতা বাড়বে বলে আশাপ্রকাশ করেন। কেএএ/এমকেএইচ