তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেছেন, সৌদি আরব তুরস্কের কাছ থেকে অস্ত্রবাহী ড্রোন কিনতে চায়। সৌদি আরবের এই আগ্রহকে দুটি দেশের মধ্যে সম্পর্কোন্নয়নের পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
Advertisement
২০১৮ সালে সাংবাদিক জামাল খাশোগি ইস্তাম্বুলের সৌদি কনসুলেটে নিহত হওয়ার পর থেকে সৌদি আরব ও তুরস্কের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটে। সৌদির অনানুষ্ঠানিক বর্জনের ফলে দুই দেশের বাণিজ্য সংকুচিত হয়ে পড়েছে। তবে দুটি দেশের পক্ষ থেকেই বলা হয়েছে যে, তারা সম্পর্কের উন্নতি ঘটাতে কাজ করবে।
তুরস্কের দীর্ঘদিনের প্রতিদ্বন্দ্বী গ্রিসের সঙ্গে সৌদি আরব যৌথভাবে বিমান অনুশীলনের সিদ্ধান্ত নেয়ায় মঙ্গলবারের সংবাদ সম্মেলনে অসন্তোষ প্রকাশ করেন এরদোয়ান। ড্রোনের চুক্তি রিয়াদের ভবিষ্যৎ কর্মকাণ্ডের ওপর নির্ভর করছে বলেও ইঙ্গিত দেন তিনি।
এরদোয়ান বলেন, ‘সৌদি আরব গ্রিসের সঙ্গে যৌথ অনুশীলন পরিচালনা করছে। আবার একই সময়, সৌদি আরব আমাদের কাছে অস্ত্রবাহী ড্রোন চাচ্ছে। আমাদের প্রত্যাশা, এই বিষয়টি উত্তেজনা সৃষ্টি না করে শান্তিপূর্ণ উপায়ে সমাধান হবে।’
Advertisement
অস্ত্রবাহী ড্রোন তৈরিতে বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম প্রধান দেশ হিসেবে তুরস্ক। নাগার্নো-কারাবাখ অঞ্চলে আর্মেনিয়ার সঙ্গে ছয় সপ্তাহের যুদ্ধে তুরস্কের ড্রোন আজারবাইজানকে জয় পেতে সহযোগিতা করেছিল। সিরিয়া ও লিবিয়াতেও তুরস্কের ড্রোন ব্যবহার করা হয়।
সৌদি আরব ইতোমধ্যেই প্রযুক্তি বিনিময় সংক্রান্ত এক চুক্তি করেছে তুরস্কের বেসরকারি কোম্পানি ভেস্টেলের সঙ্গে। এর মাধ্যমে সৌদি আরব ভেস্টেল থেকে তাদের নিজেদের জন্য সামরিক ড্রোন প্রস্তুত করতে পারবে।
এমকে/এমএস
Advertisement