নেপালের তিন জাতি আমন্ত্রণমূলক ফুটবল টুর্নামেন্টের ট্রফিটা নিয়ে দেশে ফিরতে চান বাংলাদেশ জাতীয় দলের মিডিফিল্ডার সোহেল রানা। বুধবার সকালে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুশীলন শেষে তিনি বলেছেন, আমরা ট্রফি জয়ের লক্ষ্য নিয়েই নেপাল যাচ্ছি।
Advertisement
বৃহস্পতিবার ফুটবলাররা নেপাল যাবেন। এর আগে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সোহেল রানা বলেছেন, ‘আমরা যেহেতু লম্বা সময় লিগ খেলেছি, তাই কোচ এখন রিকভারির দিকে নজর দিচ্ছেন। আমাদের কাছে কোচ যা চাচ্ছেন, সেগুলো যেন দিতে পারি সেটাই দেখিয়ে দিচ্ছেন। পাসিং, ডিফেন্সিং ও ফিনিশিং নিয়ে আজ কাজ করেছেন কোচ। টেকনিক্যাল যে বিষয়গুলো আছে তা নেপাল গিয়েই বেশি করে দেখাবেন কোচ। প্রতিপক্ষ দুই দলের দুর্বল ও শক্ত জায়গাগুলো নিয়ে কাজ করবেন।’
বাংলাদেশ ও নেপালের কন্ডিশনের যে পার্থক্য তাতে আপনাদের কোনো সমস্যা হবে কি? ‘নেপাল পাহাড়ি দেশ। ওখানে স্বাভাবিক দম নিতে একটু সমস্যা হবেই। কারণ, পাহাড়ের ওপর খেলা হয়। একটু ঠান্ডাও থাকে। সবকিছু মিলিয়ে একটু কঠিন হয়।’
তবে আগেভাগে নেপাল যাওয়ায়, কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যেহেতু আমরা একটু আগে যাচ্ছি তাই কন্ডিশনটা মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা করব। ওখানকার কন্ডিশনের সঙ্গে দ্রুত খাপ খাইয়ে নেয়ার চেষ্টা থাকবে। ওদের সঙ্গে খেলতে হলে এ বিষয়টা দ্রুত মানিয়ে নিতে হবে। যাতে প্রথম ম্যাচটায় ভালোভাবে শুরু করতে পারি’- বলেছেন সোহেল রানা।
Advertisement
কোচ বলছেন নেপালে ট্রফি জিতলে ভালো, না জিতলে সমস্যা নেই। আপনি কী ভাবেন? তার উত্তর, ‘ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি, আমরা নেপাল থেকে ট্রফি নিয়ে আসতে পারব। সে লক্ষ্য নিয়েই যাচ্ছি। তবে যতো ভালো দলই হোক না কেন, কেউ ঘোষণা দিয়ে বলতে পারবে না যে চ্যাম্পিয়ন হবো। আমাদের চেষ্টা থাকবে যাতে ট্রফিটা বাংলাদেশে নিয়ে আসতে পারি।’
নতুন-পুরোনোদের নিয়ে দল। কোচ বলছেন জুনের বিশ্বকাপ বাছাইয়ের জন্য দল গড়তে সাহায্য করবে এ টুর্নামেন্ট। আপনারা কী ভাবছেন?
সোহেল রানার জবাব, ‘কোচ যেটা বলছেন, সেটা হলো- তার লক্ষ্য বিশ্বকাপ বাছাই নিয়ে। আমাদের দলে অনেক নতুন খেলোয়াড় আছে। তাদের দেখার বিষয়ও আছে। দুইটা মিলিয়ে কোচ পরিকল্পনা সাজাবেন। সে অনুযায়ীই টুর্নামেন্টনা খেলবো। আমরা চাই ভালোভাবে শুরু করে ট্রফি নিয়ে আসতে।’
আরআই/এসএএস/এমএস
Advertisement