যশোরে পুলিশের বিশেষ অভিযানে বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীসহ ৫৭ জন আটক হয়েছেন। তবে জামায়াতের ডাকা হরতালে জনজীবনে কোনো প্রভাব পড়েনি। সোমবার যশোর শহর ঘুরে দেখা গেছে, মানবতাবিরোধী অপরাধে মুজাহিদের ফাঁসির রায় কার্যকারে জামায়াত আহুত হরতালে যশোরের জনজীবনে কোনো প্রভাব পড়েনি। হরতালের সমর্থনে কোথাও কোনো মিছিল, সভা, সমাবেশ বা পিকেটিংয়ের খবর পাওয়া যায়নি। এদিন সকাল থেকেই যশোরের সবকটি রুটে যানবাহন চলাচল করছে। খোলা ছিল ব্যাংক-বীমা, স্কুল-কলেজ, অফিস-আদালত। তবে নাশকতা এড়াতে পুলিশ সর্তকাবস্থায় ছিল। শহরে পুলিশি টহলও বাড়ানো হয়েছিল। এছাড়া পুলিশের সঙ্গে র্যাব সদস্যদেরও টহল দিতে দেখা গেছে। এদিকে, রোববার রাত থেকে সোমবার দুপুর পর্যন্ত যশোরে পুলিশের বিশেষ অভিযানে ৫৭ জনকে আটক করা হয়েছে। আটকদের মধ্যে বিএনপির একজন এবং মণিরামপুর থানা জামায়াতের সাবেক আমির মাওলনা হাবিবুর রহমানসহ জামায়াত শিবিরের সাত নেতার্মী রয়েছেন। জেলার আট থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়েছে। যশোরের সহকারী পুলিশ সুপার মীর সাফিন মাহমুদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, আটক জামায়াত-বিএনপির কর্মীদের বিরুদ্ধে নাশকতার মামলা রয়েছে। বাকিরা বিভিন্ন মামলার আসামি। মিলন রহমান/এমজেড/এমএস
Advertisement