ফিচার

বর্তমান প্রজন্মের শিশুদের চোখে বঙ্গবন্ধু

১৯২০ সালের ১৭ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাঁরই নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে দেশমাতাকে রক্ষা করেন বীর বাঙালিরা। বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনকে ঘিরেই বাংলাদেশে যথাযথ মর্যাদায় প্রতিবছর ‘জাতীয় শিশু দিবস’ পালিত হয়।

Advertisement

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিশুদের খুব ভালোবাসতেন। শিশুরাও বঙ্গবন্ধুকে খুব সহজে আপন করে নিতো। সেই অবিসংবাদিত নেতা সম্পর্কে অনুভূতি জানিয়েছে বর্তমান প্রজন্মের শিশুরা। স্কুলপড়ুয়া শিশুদের সঙ্গে কথা বলে লিখেছেন সাজেদুর আবেদীন শান্ত—

নুজহাত জান্নাত ইরার মতে, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন। তাঁর সেই ভাষণে অনুপ্রাণিত হয়ে বাঙালিরা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে। নয় মাস যুদ্ধ করে বাংলাদেশকে স্বাধীন করে। আমরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ভালোবাসি, বাংলাদেশকে ভালোবাসি। তিনি আমাদের মনের মাঝে সব সময় আছেন এবং থাকবেন।’

ইসমো তারা খাতুনের ভাষ্য, ‘আমরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে এই দেশ পেয়েছি। তিনি বাংলাদেশের জাতির পিতা। বঙ্গবন্ধু শিশুদের ভালোবাসতেন, আমরাও বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসি।’

Advertisement

সোহানুর রহমান সোহান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশকে অনেক ভালোবাসতেন। শিশুদেরও অনেক ভালোবাসতেন। তিনি আমাদের জাতীয় নেতা। আমি বড় হয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মতো দেশের মানুষের সেবা করতে চাই।’

সৈয়দা তাসমীয়া তাহলীলের কথায়, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি সংগ্রামী চেতনার নাম। যিনি পৃথিবীতে আমাদের জন্য এঁকেছেন একটি মানচিত্র। দিয়েছেন লাল-সবুজের একটি পতাকা। আমৃত্যু তিনি দেশকে সোনার বাংলা রূপে গড়ে তুলতে চেয়েছেন। শেখ মুজিব ছাড়া আজকের এই বাংলাদেশ রাষ্ট্র কল্পনা করা যায় না।’

সুবর্ণা আক্তার খুশি বলেন, ‘জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের মহানায়ক। তিনি ছাড়া এই দেশ স্বাধীন করা সম্ভব ছিল না। বঙ্গবন্ধু ছাড়া এই স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়া সম্ভব ছিল না। আমি বঙ্গবন্ধুকে অনেক অনেক ভালোবাসি ও শ্রদ্ধা করি।’

রাকিবুল হাসান রাব্বি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেশপ্রেম, দেশের মানুষের প্রতি তাঁর ভালোবাসা, মহানুভবতাই তাকে বাঁচিয়ে রাখবে প্রজন্মের পর প্রজন্ম, অনন্তকাল। আমার চোখে তিনি বাংলার আকাশে শ্রেষ্ঠ নক্ষত্র, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, আমাদের সোনার বাংলার কারিগর।’

Advertisement

এসব শিশুর সঙ্গে সুর মিলিয়ে একবিংশ শতাব্দীতে তাই বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলতে হয়, ‘যতদিন রবে পদ্মা মেঘনা গৌরি যমুনা বহমান/ ততদিন রবে কীর্তি তোমার শেখ মুজিবুর রহমান।’

লেখক: ফিচার লেখক ও গণমাধ্যমকর্মী।

এসইউ/এমএস