শনিবার দিবাগত রাত ১২টা ৫৫ মিনিট, অর্থাৎ ২২ নভেম্বরের প্রথম প্রহরে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী এবং আলী আহসান মুজাহিদের ফাঁসির রায় একই সময়ে কার্যকর হয়েছে। সারা দেশ এবং জাতি অধীর অপেক্ষায় ছিল, অনেকেই রাত জেগে টিভি পর্দায় সব কিছু দেখেছেন, আবার ঢাকায় অনেকেই কেন্দ্রীয় কারাগারের সম্মুখে বা গণজাগরণ মঞ্চে অংশ নিয়ে প্রত্যক্ষ করেছেন। বিচারের পক্ষের মানুষ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন, তবে যারা এই বিচারের বিরোধী তারা মাথা নত করে সব কিছু চুপচাপ থেকে হজম করেছেন। বাংলাদেশের সমাজ ব্যবস্থায় এমন বৈপরীত্য খুবই কষ্টের বিষয়। অথচ ১৯৭২ পরবর্তী সময়ে এমন রায় কার্যকর হলে গোটা জাতি এক সঙ্গে থেকে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতো এতে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু ১৯৭৫- পরবর্তী সামরিক আধা-সামরিক, বিএনপি এবং জোট সরকারের প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী অবস্থান রাষ্ট্র ও রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠার কূটকৌশল ও অপরাজনীতির ফলে দেশে রাজনীতিসহ সর্বত্র এমনই বৈপরীত্য অবস্থা তৈরি হয়েছে যেখানে একটি অংশের মানুষ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে সত্য কথা বলে না, আবার মুক্তিযুদ্ধ এবং জাতির অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার নীতিতে পরস্পর বিপরীতমুখি অবস্থান নিয়ে আছে। সাকা চৌধুরী এবং মুজাহিদের বিচারের রায় এবং ফাঁসির দণ্ডাদেশ কার্যকর নিয়েও বেশিরভাগ মানুষ সন্তোষ প্রকাশ করলেও জামায়াত, অংশত বিএনপি এবং আরো কিছু দল ও গোষ্ঠি মোটেও এটিকে সমর্থন করছে না। তবে তারা প্রকাশ্যে এর বিপক্ষে কিছু না বললেও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, বিচারের রায় এবং ফাঁসি কার্যকর করাকে মোটেও মন থেকে মেনে নিতে পারছে না যে, সেটি তাদের নানা খোঁড়া যুক্তি উপস্থাপন, অপপ্রচারকে সম্বল করে মাঝেমধ্যে কিছু বলতে চেষ্টা করা বা আবার কিছু না বলে বা প্রকাশ না করে থাকা থেকেই বোঝা যায়। অথচ ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে সাকা চৌধুরী বা মুজাহিদ এবং তাদের দু’টো দলই কী অপকর্ম গুলোই না করেছিল। গণহত্যায় অংশ নেওয়া, পাকিস্তান বাহিনীকে সমর্থন দেওয়া, সামগ্রিকভাবে মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া, স্বাধীনতা-উত্তর এতো বছরেও নিজেদের বা দলের ন্যক্কারজনক ভূমিকাকে স্বীকার না করে বরং একাত্তরে তাদের দলের আর্দশকে গ্রহণ, ধারণ এবং বহন করার কাজটি এরা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে করে বেড়াচ্ছে-এটি একটি অবিশ্বাস্য রাজনৈতিক মনোজগত যেটি তাদের মধ্যে গড়ে উঠেছে। এ ধরনের আদর্শ এবং মানসিকতা দিয়ে কোনো সভ্য রাষ্ট্র, সমাজ এবং জীবন ব্যবস্থা গড়ে তোলা কোনো কালেই সম্ভব নয়-এটিও অনেকেই বুঝতে চায় না। পৃথিবীর কোথাও স্বাধীনতা রিরোধী শক্তি রাষ্ট্রের রাজনীতি, সমাজ ও অর্থনীতিতে কোনোভাবেই জায়গা করে নেওয়ার সুযোগ পায় নি। কিন্তু বাংলাদেশে এটি ঘটেছে। এমন বাস্তবতায় মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচারটি স্বাধীনতা লাভের ৪০ বছর পর শুরু হওয়া, প্রায় ৫ বছর ধরে বিচারের প্রক্রিয়া চলা, পৃথিবীর অন্যান্য দেশ থেকে অধিকতর আইনি সুযোগ সুবিধা দিয়ে বিচার করা কতোটা ঝুঁকিপূর্ণ সেটি সামগ্রিকভাবে বিবেচনায় নিতে হবে। সে ধরনের পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্যে ট্রাইব্যুনাল গঠনের মাধ্যমে যে বিচার করছে তা মস্তবড় সাফল্যের বিষয়। সেই ট্রাইব্যুনাল থেকে ইতিপূর্বে যে সব রায় দেওয়া হয়েছে তার প্রত্যেকটিই বিচারিক প্রক্রিয়াকে সম্পূর্ণরূপে স্বচ্ছতা দান করেই করা হয়েছে। তারপরও স্বাধীনতার সপক্ষের দাবিদার বিএনপি বলার চেষ্টা করছে যে, তারাও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চায়, তবে তা হতে হবে স্বচ্ছ এবং আর্ন্তজাতিক মানদণ্ডে। কিন্তু এই বিচারের কোথায় কোথায় স্বচ্ছতার অভাব আছে তা তারা কখনো বলেনি, বা দেখিয়ে দেন নি, মানদণ্ড কোথায় কোথায় লঙ্ঘিত হচ্ছে তাও তারা বলেন নি। সুতরাং তাদের এই বক্তব্য থেকেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পর্কে তাদের অবস্থান অনেকটাই পরিষ্কার। বিএনপি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার যে মন থেকে চায় না-তা ২০ দলীয় জোটের সভা-সমাবেশে জামায়াত-শিবিরের এ সংক্রান্ত বক্তব্য, তাদের কর্মীদের পোস্টার নিয়ে অবস্থান, সেগুলো প্রদর্শনের প্রতিযোগিতা ইত্যাদি অনুমতি দান, কোনো কোনো সভায় অভিযুক্ত জামায়াত নেতাদের বিরুদ্ধে আনীত মামলাকে ‘রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা’ বলে অভিহিত করা তাদের মুক্তির দাবি করে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বক্তব্য দেওয়া থেকেও স্পষ্ট হয়েছে। সাকা চৌধুরীর বিচার সম্পর্কেও বিএনপি সর্বশেষ যে সব মন্তব্য ও বিবৃতি প্রদান করেছে, সাকা চৌধুরী সম্পর্কে সাফাই গাওয়া, তাকে একজন দেশপ্রেমিক বলে অভিহিত করা, ভালো রাজনীতিবিদ ইত্যাদি সনদ দেওয়া খুবই বালখিল্য সুলভ মন্তব্য বলে বিভিন্ন মহল অভিহিত করেছে। বিএনপির অভ্যন্তরেও অনেকে এর সঙ্গে একমত নয় সেটি বিভিন্ন জনের প্রতিক্রিয়া থেকে বোঝা যায়। সাকা চৌধুরী ১৯৭১ সনে মুসলিম লীগের সঙ্গে যুক্ত থেকে বাংলাদেশ বিরোধী ভূমিকা পালন করেছিল। তার সেই সময়ের ভূমিকার দায়ভার বর্তমান বিএনপির নেওয়ার কোনো যৌক্তিকতা বিএনপির বর্তমান নেতাকর্মীদের অনেকেই আছে বলে মনে করেন না। ট্রাইব্যুনাল গঠিত হওয়ার আগ থেকেই সাকা চৌধুরী মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার সম্পর্কে নানা তুচ্ছতাচ্ছিল্য করেছেন, হুমকি-ধামকিও দিয়েছেন, শিষ্টাচারের সকল সীমা লঙ্ঘন করে তিনি বক্তব্য দিয়েছেন। অথচ মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে তার অবস্থানের কথা নতুন করে বলার কিছুই নেই। ১৯৭৫ পরবর্তী সময়ে রাজনীতিতে পুনর্বাসিত হওয়ার পর থেকে তিনি কখনো মুসলিম লীগ, কখনো জাতীয় পার্টি, কখনো নতুন দল এনডিপি করেছেন। সর্বশেষ তিনি বিএনপিতে আশ্রয় নিয়েছেন। তবে তার অশিষ্টাচার সুলভ বক্তব্যের জন্যে তিনি একবার বিএনপি থেকে বহিষ্কৃতও হয়েছিলেন। কিন্তু বিএনপি আবার তাকে দলে ফিরিয়েও নিয়েছিলেন। বস্তুত; তাকে নিয়ন্ত্রণ করা কোনো নেতা-নেত্রীর পক্ষেই সম্ভব ছিল না। তিনি নিজেকে সকল কিছুর ঊর্ধ্বে ভাবতেন, সেভাবেই তার আচরণ ছিল। অনেক সময় নিজেকে রাজাকার হিসেবে গৌরবরোধ করার কথা প্রকাশ্যে বলেছেন, সাকা চৌধুরী সব সময় নিজে আইন ও বিচারের ঊর্ধ্বে ভাবতেন। কাউকে সমীহ করে কথা বলতেন না, ট্রাব্যুনালে বিচার শুরু হলে বিচারালয়ে নানা নাটকীয়তার জন্ম দিয়েছেন, তার ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ আদালতেও নিয়ন্ত্রণ করেন নি, সবাইকে অপদস্থ বা অসম্মানিত করেছেন। বিচারটি স্বাভাবিক গতিতে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে সব সময়ই বাধা দিয়েছেন, নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছেন। তার পক্ষে দেশে যতোটা না তার চাইতেও বেশি আর্ন্তজাতিক মহলে নানা লবিস্ট এবং সমর্থক গোষ্ঠীকে ব্যবহার করেছেন। মানুষকে বিভ্রান্ত করার সব চেষ্টাই তিনি করেছেন। এমন কি ফাঁসির রায় কার্যকর হওয়ার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত দেশে-বিদেশে সর্বত্র তিনি বিভিন্ন অপশক্তিকে ব্যবহার করেছেন। তিনি নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতা, ১৯৭১ সালে লাহোরে থাকা, পড়া ইত্যাদি বিষয়ে বিভিন্ন ধরনের জাল সনদপত্র বিচারালয়ে উপস্থাপন করেছেন। রায় হওয়ার পর সাফাই সাক্ষী হিসেবে ৫ জন পাকিস্তানি প্রভাবশালী ব্যক্তির নাম দেওয়া, তাদের ওয়েবসাইটে নানা ধরনের বক্তব্য প্রচার প্রচারণার লক্ষ্যে ব্যবহার করা হয়েছে। সাকা চৌধুরী এবং তার পরিবারের সদস্যগণও বিচারিক রায়ের বিরুদ্ধে নানা ধরনের বক্তব্য ও ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে জনমতকে বিভ্রান্ত করতে একের পর এক কথা বলেছেন।জামায়াত নেতা আলী আহসান মুজাহিদ, দেশে যুদ্ধাপরাধী নেই-এমন মন্তব্য করে বেশ আগেই সমালোচনাতে এসেছিলেন। তিনি একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে আলবদর বাহিনীর প্রধান হিসেবে বুদ্ধিজীবী হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি এবং তার দল গোটা বিচার প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে দেশে এবং বিদেশে নানাভাবে অপপ্রচার চালিয়েছেন। ২০১২ সাল থেকে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচালের জন্যে জামায়াত শিবিরের নেতা-কর্মীরা রাস্তায় সহিংশ আক্রমণ, হরতাল, অবরোধ ইত্যাদি করেছে। তার পরিবারের সদস্যগণও শেষ দিন সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে জনমত বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছেন। ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত অন্যান্য অপরাধীর ক্ষেত্রে যেটি দেখা গেছে তারা কেউই রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা ভিক্ষার আবেদন করেন নি। কিন্তু সাকা চৌধুরী এবং আলী আহসান মুজাহিদ শেষ মুহূর্তে প্রাণভিক্ষা চেয়ে রাষ্ট্রপতির নিকট আবেদন করেছেন। এটি তাদের পরিবারের সদস্যদের পক্ষ থেকে শুরু থেকেই অস্বীকার করা হয়েছে। অথচ সাকা চৌধুরী এবং মুজাহিদের পক্ষ আবেদন করা না হলে মহামান্য রাষ্ট্রপতির নিকট শেষ মুহূর্তে ফাইল যাওয়ার কোনো কারণই ছিল না। কিন্তু দেশবাসী শনিবার বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আইনমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য শুনেছেন এবং এ ধরনের প্রক্রিয়া চলছিল সেটি গণমাধ্যমেই দেখা যাচ্ছিল। এরপর তাদের পরিবারের সদস্যগণ বিষয়টি শুধু অস্বীকারই নয় বরং এ নিয়ে নানা ধরনের ঔদ্ধত্যপূর্ণ মন্তব্যও করেছেন। সাকা চৌধুরীর ছেলে হুকা চৌধুরী চট্টগ্রামে এক সাংবাদিক সম্মেলনে পিতার মতোই ঔদ্ধত্যের সঙ্গে সেটিকে পুনরায় অস্বীকার করে পিতার উচ্চতার কথাও বলার চেষ্টা করেছেন। আগের দিন মুজাহিদের পুত্রও পিতার মতোই দাম্ভিকভাবে কথা বলেছেন। সাকার ছেলের পোশাক এবং মন্তব্য রাখার ধরন দেখে মনে হয় নি তারা কোনোভাবে শোকাহত বা পিতার অপকর্মের জন্যে সামান্যতম লজ্জিত বা অনুতপ্ত। বরং হুকা চৌধুরী চট্টগ্রামে সাংবাদিক সম্মেলনে ভবিষ্যতে তার পিতার হত্যার বিচার করা হবে বলে হুমকি দিয়েছেন। দুই পরিবারের সন্তানদের দেখে এবং তাদের কথাবার্তা শুনে দেশবাসীর মনে হয়েছে যে, তারা তাদের পিতার ‘আদর্শ’ ই বেশ দৃঢ়ভাবে অনুসরণ করেন। এদের বাংলাদেশ সম্পর্কে ধারণা ও বিশ্বাসের জায়গায় কোনো ভিন্নতা নেই। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে আমরা দেখেছি অনেক তরুণই অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করতে গেছে। অথচ তাদের কারও কারও পিতা মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে ভূমিকা রাখছিলেন। কেউ কেউ এমন পিতার বিরুদ্ধেও অবস্থান নিয়েছিলেন। এ ধরনের ঘটনা মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে একেবারেই বিরল ছিল না। তবে এখন সাকা চৌধুরী, মুজাহিদ বা কামারুজ্জামানের সন্তানদের বক্তব্য শুনে মনে হলো পারিবারিকভাবেও মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর অনেকেই তাদের পরবর্তী উত্তরাধিকার সে রকমই রেখে গেছেন। ফলে বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পন্ন হলেই যে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের পথ সুগম হবে-এমনটি ধরে বসে থাকা মোটেও ঠিক হবে না। একটা রেনেসাঁস তথা পুনর্জাগরণ যদি না ঘটানো যায় তাহলে দীর্ঘদিনের মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী রাজনীতি ও প্রচার-প্রচারণায় গড়ে ওঠা একটি বড় ধরনের তরুণ গোষ্ঠী- যারা মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে কোনোভাবেই ভেতর থেকে গ্রহণ করে নি, তরুণদের একটি অংশ একাত্তরে তাদের পূর্বসূরিদের মতোই বাংলাদেশে বিরোধিতা করবে। তারা এসব বিচারকে কোনোভাবেই মেনে নিচ্ছে না, বাংলাদেশে কোনো দিন মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে বা দুর্বল কোনো সরকার ক্ষমতায় আসীন হলে এসব বিচারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতেও কুণ্ঠাবোধ করবে না বলে মনে হচ্ছে। বরং তারা প্রতিশোধ নেবে এমনটি স্পষ্ট করে বলে দিচ্ছে। তবে ক্ষমতা পালা বদলের জন্যে অপেক্ষা না করেও তারা দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির চেষ্টা অব্যাহত রাখতে পারে। নিজেদের সংশোধন করা কিংবা দেশ ও জাতির পক্ষে কাজ করার জন্যে নিজেদেরকে গড়ে তোলা ও প্রস্তুত করা- সে ধরনের কোনো মানসিকতা তাদের কাছ থেকে বোধ হয় আশা করা যাবে না। তবে দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠী এবং তরুণ প্রজন্ম এই বিচারের প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধকে জানার সুযোগ পেয়েছে, আবার মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী শক্তির আচরণ সম্পর্কেও অবহিত হতে পেরেছে। ফলে এই মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশকে রক্ষার করার জন্যে নতুন প্রজন্মের তরুণরাই আগামী দিনের অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে গড়ে ওঠার শক্তিতে রূপান্তরিত হবে। সেক্ষেত্রে সাকা-মুজাহিদের রেখে যাওয়া মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী চেতনার পরিবার ও দল ইতিহাসের বিপরীতেই চলবে, আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হওয়ার অবস্থানেই থাকবে। এইচআর/এমএস
Advertisement