ফিচার

আরব আমিরাতে কাজ ও থাকার অনুমতি কেন নেবেন?

সংযুক্ত আরব আমিরাত পশ্চিম এশিয়ার একটি ছোট্ট দেশ। দেশটির একপাশে ওমান, অন্যপাশে সৌদি আরব। উপসাগরীয় অঞ্চলের দিকে কাতার ও ইরান অবস্থিত। দেশটির রাজধানী আবুধাবি। জনবহুল শহরের নাম দুবাই। দাফতরিক ভাষা আরবি। আয়তন প্রায় ৮৩,৬০০ বর্গমাইল।

Advertisement

দেশটিতে ৭টি আমিরাত (আমির অর্থ শাসক) আছেন। যথা: আবুধাবি, দুবাই, আজমান, ফুজাইরাহ, রাশ আল খাইমাহ, শারজাহ, উম আল কোয়াইন। জনসংখ্যা মাত্র ৯৮ লাখ। কারেন্সির নাম ইউই দিরহাম, যা বাংলাদেশি প্রায় ২৩ টাকার সমান।

দেশটি ১৯৭১ সালে ব্রিটিশ উপনিবেশ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে। দেশটির নিজস্ব জনসংখ্যা মাত্র ১১.৬% আর ৫৯.৪% দক্ষিণ এশিয়ার (ভারতীয়-৩৮.২%, পাকিস্তানি-২৭.৪%, বাংলাদেশি-১২.৪%) এবং ২৬.৩% অন্যান্য। দেশটির মাথাপিছু আয় প্রায় ৭০,৪৪১ ডলার। বিশ্বে শান্তিপ্রিয় রাষ্ট্র হিসেবে যার অবস্থান ৪১তম।

মধ্যপ্রাচ্যের অর্থনৈতিক উদীয়মান দেশ হচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। ২০১৯ সালে দেশটিতে প্রায় ১৬.৭৩ মিলিয়ন ইন্টারন্যাশনাল ট্যুরিস্ট ভ্রমণে গিয়েছিল। দেশটি বর্তমানে বিভিন্ন বিজনেস ক্যাটাগরিতে নতুন ভিসা ও রেসিডেন্স পার্মিট চালু করেছে। গোল্ডেন ভিসা-১০ বছর, এন্টারপ্রেনার ভিসা-০৫ বছর, পার্টনার ভিসা-০৩ বছর। এসব ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশের ছোট-বড় সব ধরনের ব্যবসায়ীরা ভিসা ও রেসিডেন্সের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

Advertisement

ইকোনমিক জোন: ইতোমধ্যে গভর্নমেন্ট অব দুবাই বিজনেস ইকোনমিক জোন ঘোষণা করেছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বিনিয়োগকারীদের আমন্ত্রণ জানিয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে এফডিআই (ফরেন ডাইরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট) প্রোগ্রাম ঘোষণা করা হয়েছে। দেশটি বিদেশি ইনভেস্টরদের জন্য ১১টি অর্থনৈতিক জোন ঘোষণা করেছে। এ প্রোগ্রামে যেকোনো বিদেশি সেখানে বিনিয়োগ করতে পারবেন সম্পূর্ণ নিজ মালিকানায়।

অগ্রাধিকার ব্যবসা: বর্তমানে দেশটিতে ট্যুরিজম, মিডিয়া, আইটি, ডিজাইন, ম্যানুফ্যাকচারিং, এডুকেশন, সায়েন্স ও মেডিসিন ইত্যাদি সেক্টরকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে।

ভিসা ও বসবাস: যেকোনো বিদেশি সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা ও রেসিডেন্স পার্মিটের জন্য আবেদন করতে পারবেন। ভিসার তেমন কোনো জটিলতা নেই। সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে রেসিডেন্স পার্মিট দেওয়া হয়। রেসিডেন্স পার্মিট কার্ড পাওয়ার পরই আর কোনো ভিসার প্রয়োজন হয় না। রেসিডেন্স পার্মিট কার্ড থাকলেই যেকোনো সময় টিকিট কেটে যাতায়াত করা যায়। বিশ্বে আমিরাতি পাসপোর্ট র্যাঙ্ক হলো ১৬তম। এ পাসপোর্ট দিয়ে বিশ্বের ১৭৮টি দেশে ফ্রি অ্যাকসেস করা যায়।

বিজনেস করবেন কেন?১. বিশ্বের ১৮২ দেশের মধ্যে ইজি বিজনেস ডুইং কান্ট্রি হিসেবে যার অবস্থান ১৬তম।২. ইন্টারন্যাশনাল ট্রান্সপারেন্সি রিপোর্টে দুর্নীতি পরায়ন রাষ্ট্র হিসেবে ১৮০ দেশের মধ্যে অবস্থান ২১তম।৩. ফ্রি ট্যাক্স জোন ও বিজনেস এবং ইনকাম।৪. লিবারেল ও ইনফরমিস্ট বিজনেস ক্লাইমেট।৫. বৃহৎ বাজারে মুক্ত প্রবেশাধিকার।৬. অনুকূল ভৌগলিক অবস্থান।৭. কম্পিটেটিভ লেবার কস্ট।৮. ফ্রি ইকোনমিক জোন।৯. রেসিডেন্স পার্মিটের জন্য আবেদন সহজ।১০. ইনসেনটিভ অন স্পেসিফিক বিজনেস।১১. ফ্রি ট্রেড অ্যাগ্রিমেন্ট ফ্যাসিলিটিজ।১২. ডিরেক্ট মালিকানা (কোনো অংশীদারিত্ব না দিয়ে)।১৩. পটেনশিয়াল অ্যান্ড মোস্ট গ্রোইং কান্ট্রি।১৪. প্রয়োজনীয় প্রাইভেট ল্যান্ড প্রোপার্টি ও ফ্ল্যাট কেনা।১৫. সহজ ভিসা ও রেসিডেন্স পার্মিট সিস্টেম।১৬. বিশ্ব সম্প্রীতির দেশ।

Advertisement

এসইউ/জেআইএম