খেলাধুলা

তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের ফাইনালে মুখোমুখি আর্জেন্টিনা-জার্মানি

তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের ফাইনালে পরস্পরের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে আর্জেন্টিনা ও জার্মানি। রোববার ব্রাজিলের মারাকানা স্টেডিয়ামে বিশ্ব সেরার মুকুট পরার প্রতিদ্বন্দ্বিতায় লিপ্ত হবে দল দুটি। যেহেতু ইতোপুর্বে তারা একে অপরের বিপক্ষে একবার করে শিরোপা জয় করেছে, তাই রোববারের ম্যাচটি হবে তাদের এগিয়ে যাবার লড়াই। দল দুটি অতীত প্রতিদ্বন্দ্বিতার ৫টি স্মরণীয় মুহুর্ত উপস্থাপন করা হলো।২৯ জুন মেক্সিকো সিটিতে ১৯৮৬ সাল বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচ: ফলাফল ৩-২ গোলে আর্জেন্টিনা জয়। এর ফলে ফুটবল ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপা জয় করে আর্জেন্টিনা। যার প্রধান কৃতিত্ব দিয়াগো ম্যারাডোনার।ম্যাচের প্রথমার্ধেই হোসে লুইস ব্রাউন ও জর্জ ভালদানোর দেয়া গোলে আর্জেন্টিনা এগিয়ে গেলে সবাই ধরে নিয়েছিল শিরোপটি অনেকটাই নিশ্চিত করে ফেলেছে তারা। কিন্তু মাত্র ৭ মিনিটের ব্যবধানে কার্ল হেইঞ্জ রুমেনিগে ও রুডি পোয়েলারের গোলে নাটকীয় ভাবে সমতায় ফিরে আসে জার্মানি। কোন গোল না পাওয়া প্লে মেকার ম্যারাডোনা শেষ পর্যন্ত তার তারকা খ্যাতির পরিস্ফূরণ ঘটান ম্যাচ শেষ হবার মাত্র ৪ মিনিট আগে। তিনি সতীর্থ জর্জ ব্র“সাগাকে এত সুন্দর করে একটি বল বানিয়ে দেন, যেটি দিয়ে গোল করা ছাড়া তার অন্য কোনো পথ খোলা ছিল না।৮ জুলাই রোমে ১৯৯০ বিশ্বকাপের ফাইনাল : ১-০ গোলে পশ্চিম জার্মানি জয়ী। চার বছরের ব্যবধানে ফের বিশ্বকাপের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল আর্জেন্টিনা ও জার্মানি। প্রত্যাশিত না হলেও জার্মানরা ১-০ গোলের জয় নিয়ে চার বছর আগে হারের প্রতিশোধ ঠিকই নিয়ে নেয়। ম্যাচ জয়সুচক একমাত্র গোলটি করেছিলেন আন্দ্রেয়াস ব্রেহেমেস। ম্যাচ শেষ হবার মাত্র ৫ মিনিট আগে বিতর্কিত পেনাল্টি থেকে গোল করেন তিনি। তীব্র উত্তেজনাকর ম্যচাটিতে আর্জেন্টিনা লড়েছে ৯ জনের দল নিয়ে। কারণ বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথমবারের মত ফাইনাল ম্যাচে লাল কার্ড দেখে বিদায় নিতে হয়েছিল প্রেড্রো মনজোন ও গুসতাবো ডিজোট্টি।৩০ জুন বার্লিনে ২০০৬ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল : ১-১ গোলে সমতায় থাকা ম্যাচটি নিষ্পত্তি হয় টাইব্রেকারে। সেখানে জার্মানি ৪-২ গোলে আর্জেন্টিনাকে পরাজিত করে। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে রবার্তো আয়ারার গোলে এগিয়ে যায় ল্যাটিনরা। কিন্তু খেলার ইতি ঘটার মাত্র ১০ মিনিট আগে গোল করে ম্যাচের সমতা ফেরারন বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বাধিক গোলের মালিকানা পাওয়া মিরোস্লাব ক্লোসা।৩ জুলাই, কেপ টাউনে ২০১০ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল : ৪-০ গোলের বিশাল ব্যবধানে আর্জেন্টিানেক পরাজিত করে জোয়াচিম লোর তারুন্য নির্ভর জার্মানি। লিওনেল মেসি, গঞ্জালো হিগুয়েন ও কার্লোস তেবেজকে নিয়ে গঠিত আর্জেন্টিনার বিপক্ষে সূচনা গোলটি করেন টমাস মুলার। ক্লোসা করেন দুই গোল।

Advertisement

১৫ আগস্ট, ২০১২ ফ্রাঙ্কফুর্টে প্রদর্শনী ম্যাচ : আর্জেন্টিনা ৩-১ গোলে হারায় জার্মানিকে। এটি ছিল দল দুটির সর্বশেষ লড়াই। যেখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে ১০ জনের জার্মানি। লাল কার্ড দেখে গোল রক্ষক রন রবার্ট বিদায় নিলে ১০ জনের দলে পরিণত হয় জার্মানি। ম্যাচে মেসির নেয়া একটি পেনাল্টিও রুখে দিয়েছিলেন তারই বার্সেলোনা ক্লাব সতীর্থ মার্স আন্দ্রে। তবে চারবারের বর্ষ সেরার খেতাব পাওয়া সুপারস্টার মেসি দুই গোল করে এগিয়ে দেন আর্জেন্টিনাকে। জার্মান মিডফিল্ডার সামি খেদিরার আত্মঘাতী গোলের সুবাদে ওই ব্যবধান ৩-০ গোলে পৌছায়। তবে ম্যাচ শেষবার মাত্র ৯ মিনিট আগে একটি গোল পরিশোধের মাধ্যমে জার্মান গৌরবকে ফিয়ে দেন বেনেডিক্ট হোয়েডেস।