আগামী ৩০ মার্চ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। তবে সম্প্রতি করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়ার কারণে দেশের সব পর্যায়ের সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে অভিভাবক ফোরাম।
Advertisement
সোমবার (১৫ মার্চ) ফোরামের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মো. জিয়াউল কবির দুলু ও সাধারণ সম্পাদক মো. সেলিম উদ্দিন এক যুক্ত বিবৃতিতে এ দাবি জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘করোনা সংক্রমণ ৩ শতাংশের নিচে কমে আসায় সরকারের পক্ষ থেকে আগামী ৩০ মার্চ স্কুল-কলেজ ও মাদরাসা খুলে দেয়ার ঘোষণা আসে। কিন্তু ইতোমধ্যে সংক্রমণ ফের ঊর্ধ্বমুখী। আজ সোমবার শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৭৭৩ জন। মারা গেছেন ২৬ জন। এটি গত তিন মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ শনাক্ত ও মৃত্যু। এ অবস্থায় ঘোষিত তারিখে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়টি নিয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বিরাজ করেছে। করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি ও পাশাপাশি নতুন বা পরিবর্তিত রূপের আবির্ভাবে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।’
অভিভাবক ফোরামের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘শহরাঞ্চলের বেশিরভাগ অভিভাবককে তাদের সন্তান নিয়ে গণপরিবহন বা রিকশায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করতে হয়। যুবকদের আক্রান্ত হার আগের চেয়ে বেড়েছে। শিশুদের হার কম হলেও তারা ভাইরাসবাহকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে পারে। এ অবস্থায় অভিভাবকরা সন্তানদের স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠাবেন না। শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মচারী এবং অভিভাবকদের স্বাস্থ্যঝুঁকি এবং সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েই নতুনভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত নেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি এবং জাতীয় পরামর্শক কমিটির সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে সরকারকে স্কুল-কলেজ খোলার বিষয়টি পুনর্বিবেচনার দাবি জানাচ্ছি।’
Advertisement
তারা আরও বলেন, ‘রমজান মাস আসন্ন। সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। শিক্ষার্থীদের মৃত্যুর ঝুঁকিতে রেখে কেবল শিক্ষার্থীর কাছ থেকে টিউশন ফি আদায় করার জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত নেয়া যাবে না।’
এমএইচএম/এমআরআর/এমএস