আন্তর্জাতিক

করোনা টিকার দুই ডোজ কি একই কোম্পানির হওয়া জরুরি?

করনোভাইরাসের তাণ্ডবের মধ্যেই বিজ্ঞানীদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে তৈরি হয়েছে টিকা। এই টিকা সুখবর নিয়ে এসেছে বিশ্বব্যাপী। বিশ্বের অনেক দেশেই শুরু হয়েছে করোনার টিকা প্রয়োগ। টিকার প্রথম ডোজ আগেই দেয়া শুরু হয়েছে, এরপর দেয়া হবে দ্বিতীয় ডোজ। বিভিন্ন দেশে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের উৎপাদিত টিকার প্রয়োগ শুরু হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা, ফাইজার ও মডার্নার টিকা, রাশিয়ার স্পুটনিক ফাইভ, ভারতের কোভ্যাক্সিন। আবার জনসন অ্যান্ড জনসনের এক ডোজের টিকার অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

Advertisement

এদিকে, সম্প্রতি ব্রিটিশ-সুইডিশ ফার্মাসিউটিক্যাল জায়ান্ট অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনাভাইরাসরোধী ভ্যাকসিন নেয়ার পর বেশ কয়েকজনের শরীরে রক্ত জমাট বাঁধার অভিযোগে এর ব্যবহার আপাতত বন্ধ রেখেছে বেশকিছু দেশ। কিন্তু অ্যাস্ট্রাজেনেকা বলছে, তাদের ভ্যাকসিন নেয়ার পর শরীরে রক্ত জমাট বাঁধার ঝুঁকি তৈরি হয় এমন কোনো কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

এ অবস্থায় যারা করোনার প্রথম ডোজ নিয়েছেন তাদের অনেকের মনে প্রশ্ন জেগেছে- দ্বিতীয় ডোজ কি একই ধরনের বা কোম্পানির হতে হবে? যদি প্রধম ডোজের কোম্পানির টিকা দ্বিতীয় ডোজের ক্ষেত্রে পাওয়া না যায়, ক্ষেত্রে কী হবে?

এ বিষয়ে স্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞরা বলেন, করোনার দুই ডোজ একই হওয়া উচিত। প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের ক্ষেত্রে সামঞ্জস্য থাকা উচিত বলে মনে করেন তারা।

Advertisement

তবে যদি বিশেষ কোনো ক্ষেত্রে একই ধরনের দুই ডোজ না পাওয়া যায় বা যদি প্রথমবার কোন কোম্পানির ডোজ দেয়া হয়েছে তা যদি না জানা যায়, সেক্ষেত্রে যেকোনো কোম্পানির টিকা দেয়া যাবে বলে জানান তারা। বিশেষজ্ঞরা বলেন, ‘আংশিক সুরক্ষার চেয়ে ভিন্ন ধরনের ডোজ দেয়া নিরপদ।’

তবে জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের ভ্যাকসিন বিশেষজ্ঞ সাওর বার-জিভ বলেন, ‘কোনো ধরনের গবেষণা ছাড়া করোনার টিকার মিশ্রণ ঘটানো উচিত নয়।’

তিনি বলেন, ‘কোনো কারণে যদি কেউ দ্বিতীয় ডোজের ক্ষেত্রে ভিন্ন ধরনের টিকা নিয়ে থাকেন তাহলে এটি কাজ করবে এবং সহনীয় হবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে নিশ্চিত হওয়ার জন্য প্রমাণ জরুরি।’ খবর: এপি নিউজ

ইএ/এএসএম

Advertisement