প্রায় এক বছর বন্ধ থাকার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসের বিভিন্ন প্রবেশপথ সাধারণ মানুষ ও যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে।
Advertisement
গত বছর মহামারি করোনার সংক্রমণ শুরুর দিকে ঢাবি ক্যাম্পাসে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে কর্তৃপক্ষ জনসাধারণ ও সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়।
নীলক্ষেত মোড়, উদয়নস্কুলের সামনে এবং টিএসসি সংলগ্ন রোকেয়া হলের সামনের রাস্তার প্রবেশপথ বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেয়। গত প্রায় এক বছর ক্যাম্পাসে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ তো ছিলই সাধারণ মানুষের প্রবেশাধিকারও ছিল সীমিত।
আগামী ৩০ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ও স্কুলসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার সরকারি ঘোষণা রয়েছে। এ কারণে ক্যাম্পাসে ফিরতে শুরু করেছে শিক্ষার্থীরা। মূলত এ কারণেই শনিবার (১৩ মার্চ) বিকেল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রবেশপথ খুলে দেয়া হয়েছে।
Advertisement
রোববার (১৪ মার্চ) সকালে সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, নীলক্ষেত মোড়ে সাধারণ মানুষের জটলা। প্রবেশপথ খুলে দেয়া প্রসঙ্গে উপস্থিত সবার মধ্যে আলোচনা। দীর্ঘদিন পর রিকশা, মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকার ও বাসসহ বিভিন্ন প্রকারের যানবাহন ক্যাম্পাসে ছুটোছুটি করতে দেখা যায়। দীর্ঘদিন নীরব সড়ক হয়ে উঠে সরব। অনেকেই বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না যে ক্যাম্পাসে সাধারণ মানুষ ও যানবাহন চলাচল উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে।
নীলক্ষেত মোড়ে ঢাবি ক্যাম্পাসে প্রবেশপথের অদূরে আবাসিক কোয়ার্টারের গেটের পাশে দু’জন বৃদ্ধ দাঁড়িয়ে ছিলেন। তাদের সঙ্গে আলাাপকালে জানা যায়, আগামী ৩০ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়ার সরকারি ঘোষণা রয়েছে। এ কারণে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন হলে শিক্ষার্থীদের ফিরিয়ে আনা ও ক্যাম্পাসে চলাচল সহজ করতে বিভিন্ন প্রবেশপথের ব্যারিকেড তুলে দেয়া হয়েছে।
তারা বলেন, করোনার কারণে বন্ধ ঘোষণার পর গত এক বছর ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে কবরস্থান মনে হতো। চারদিকে নীরবতা বিরাজ করছিল। অনেকদিন পর ক্যাম্পাস প্রাণ ফিরে পেতে শুরু করেছে।
নীলক্ষেতের মোড়ে ফটোকপি দোকানি লিটন মিয়া জানান, ক্যাম্পাসের বিভিন্ন প্রবেশপথ খুলে দেয়ায় দোকানিরা খুশি। শিক্ষার্থীরা হলে উঠলে তাদের ব্যবসা কিছু বাড়বে। করোনার কারণে সকলেই বাজে সময় পার করছেন বলে জানান তিনি।
Advertisement
এমইউ/এএএইচ/এএসএম