জাতীয়

অঙ্গীকার অক্ষরে অক্ষরে পালন করছেন প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণের কাছে করা অঙ্গীকার অক্ষরে অক্ষরে পালন করছেন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। রোববার জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।তিনি বলেন, আদালত এবং সরকার কোনো বিরোধী দলীয় নেতাকে ফাঁসি দিয়ে ঝুলিয়ে হত্যা করেনি। এই আদালতের বিচার এবং রায় কার্যকরের প্রক্রিয়া স্বচ্ছভাবে পরিচালনা করা হয়েছে। প্রতিটি ধাপ দিনের আলোতে চলেছে, আসামিরা সর্বোচ্চ আইনের সুযোগ পেয়েছে। হাসানুল হক ইনু বলেন, মাফ চাওয়া নিয়ে যে বিতর্ক উঠেছে, আমি শুধু বলবো ওই চিঠিতে যা কিছু লেখা থাকুক না কেন সংবিধানের ৪৯ ধারা অনুযায়ী সাজাপ্রাপ্ত দণ্ডিত আসামি ক্ষমা ভিক্ষা করলেই দরখাস্ত কেবল রাষ্ট্রপতি মহোদয়ের কাছে যায়। মহামন্য রাষ্ট্রপতি তেমন এখতিয়ার ছাড়া বিচার কার্যে ত্রুটি বিচ্যুতি নিয়ে আলোচনা করেন না। অথবা ধ্যান দেন না। তথ্যমন্ত্রী বলেন, অনেকে বলার চেষ্টা করছে, বিরোধী দলকে দমনের চেষ্টা করা হচ্ছে। বিরোধী দলকে হত্যা করা হয়েছে। বাংলাদেশে কোন ব্যক্তি তিনি যে ধর্মের, যে দলেরই হোক না কেন উনি মন্ত্রী হোক কিংবা সংসদ সদস্য হোক, সাবেক মন্ত্রী হোক কিংবা রাষ্ট্রপতি হোক দায়মুক্তির কোনো বিধান নেই। যদি অপরাধ করে থাকে তাহলে তাকে বিচারের সম্মুখীন হতে হবে। সেখানে বাংলাদেশের বিচার প্রক্রিয়া, আদালত এবং সরকার কোনো বিরোধী দলীয় নেতাকে ফাঁসি দিয়ে ঝুলিয়ে হত্যা করিনি। কোনো ধর্মীয় নেতাকেও মৃত্যুদণ্ড দেয়নি। আমরা একজন ৭১- সালের কুখ্যাত রাজাকার এবং হত্যাকরীকে আদালত যে সাজা দিয়েছে, শেখ হাসিনার সরকার তা কার্যকর করেছে। তিনি বলেন, আজকে যারা ক্ষমা চাইছেন কি চাইছেন না- এটা নিয়ে বিতর্ক করছেন আমি বলবো আসামিরা স্বহস্তে লিখিত ক্ষমা প্রার্থনার মধ্য দিয়ে প্রকারান্তে আদালতের ন্যায্যতা স্বীকার করে নিয়েছে। তাদের অপরাধের দুস্কর্মের দায় মাথায় নিয়েছে। তিনি বলেন, ঐতিহাসিক মুহুর্ত নিয়ে যে আলোচনা চলছে সেখানে শরীক হতে চেয়েছিলাম। মহাজোট, ১৪ দলীয় জোটের পক্ষ থেকে কিছু কথা বলতে চাই। ২ জন কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধীদের সাজা কার্যকর হয়েছে। ৭১ সালে মহাযুদ্ধের সময় জাতির সঙ্গে যে অবিচার ঘটেছিলো তার বিচার হলো। সরকার সর্বোচ্চ আদালতের যে রায় সে রায় কার্যকর করেছে মাত্র। ইনু বলেন, অপরাধীদের বিচার না করা বাজে সংস্কৃতি। পাকিস্তানিরা এবং ৭৫-এর পর সামরিক শাসকরা এটা চালু করেছিলো। এ বিচারের মধ্য দিয়ে বিচারহীনতার বাজে সংস্কৃতি থেকে আইনের শাসনের পথে আরেক ধাপ আমরা এগিয়ে গেলাম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাহসের সঙ্গে নির্বাচনের সময় অঙ্গীকার করেছিলেন। নির্বাচনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পান তাহলে জাতিকে বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বের করে আনবেন। উনি বলেছিলেন, ৭৫-এর ১৫ আগস্টের সামরিক হস্তক্ষেপের বিচার করবেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করবেন। অনেকেই আমরা বিশ্বাস করতে পারিনি। জোটের শরীক আমরা উনার এই সিদ্ধান্ত বুঝেই সমর্থন দিয়েছিলাম। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনের সংসদ সদস্য ক্যাপ্টেন (অব) এবিএম তাজুল ইসলাম আলোচনার সূত্রপাত করেন। আলোচনায় আরও অংশ নেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, সিনিয়র সংসদ সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম।খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দিপু মনি, সাবেক স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ, সংসদ সদস্য খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, মো. আবদুর রহমান, পিরোজপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ডা. রুস্তম আলী ফরায়েজী, বগুড়া-১ আসনের সংসদ সদস্য আবদুল মান্নান, নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান প্রমুখ। এইচএস/এসকেডি/পিআর

Advertisement