গত তিন বছর ফেনী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন হাফেজা খাতুন। ফেনীর স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সহায়ের তত্ত্বাবধানে থাকা অবস্থায় শনিবার রাতে তিনি মারা গেছেন।
Advertisement
তার স্বজনদের খোঁজ পেতে গত তিন বছর সহায়ের টিম অনেক চেষ্টা করেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একাধিকবার পোস্টও দেয়া হয়েছে, কিন্তু মেলেনি কোনো সন্ধান।
ফেনীর স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সহায়ের সাধারণ সম্পাদক দুলাল তালুকদার জানান, হাফেজা খাতুনের মরদেহ হাসপাতাল মর্গে আছে। তার পরিবারের খোঁজ না পাওয়া গেলে আজ রোববার সহায়ের সহযোগিতায় ফেনী পৌর কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
জীবিত থাকতে হাফেজা খাতুন সাংবাদিকদের বলেছিলেন, তার স্বামী আবদুর রশীদের সাথে তার সুখের সংসার ছিলো। বেলাল নামে তাদের এক পুত্রসন্তান ছিল। হাফেজা খাতুনের দিনমজুর স্বামী মারা গেছেন একযুগ আগে। তার একমাত্র সন্তান বেলালও মারা গেছে অনেক আগে। ছেলের মৃত্যুর পর পাগলপ্রায় তিনি।
Advertisement
বাড়ির ঠিকানা না বলতে পারলেও বিক্ষিপ্তভাবে তিনি বলেছেন তিন ভাই ও পাঁচ বোনের মধ্যে হাফেজা খাতুন সবার ছোট।
উল্লেখ্য, পরিবারহীন অসহায় অসুস্থ হাফেজা খাতুন (৭০) ফেনী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের নতুন ভবনের ৪র্থ তলার করিডোরে দীর্ঘদিন যাবত চিকিৎসাধীন ছিলেন। সবার সহযোগিতায় চলছিল তার জীবন। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সহায়ের তত্ত্বাবধানে গত তিন বছর তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
জীবনের শেষ সময়ে অনেকটা সময় কাটিয়েছেন অন্যের বাড়িতে কাজ করে। শরীরের শক্তি কমে আসায় আর কাজ করতে পারতেন না। ফলে তার ঠাঁই হয় রাস্তার পাশে বা ওভার ব্রিজের নিচে। রাস্তার পাশে অসুস্থ হয়ে পড়লে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সহায়ের কর্মীরা তাকে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে।
এফএ/এএসএম
Advertisement