সবচেয়ে বড় জঘন্য অপরাধ শিরক। এটি কবিরা গোনাহ। তাওবাহ ছাড়া আল্লাহ তাআলা শিরকের গোনাহ ক্ষমা করবেন না। কুরআনুল কারিমের শিরককে সবচেয়ে বড় জুলুম বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
Advertisement
হজরত লুকমান তার ছেলেকে শিরক করা থেকে বিরত থাকার নসিহত দেয়ার সময় এ কথা বলেন। কুরআনে এসেছে-وَإِذْ قَالَ لُقْمَانُ لِابْنِهِ وَهُوَ يَعِظُهُ يَا بُنَيَّ لَا تُشْرِكْ بِاللَّهِ إِنَّ الشِّرْكَ لَظُلْمٌ عَظِيمٌযখন লোকমান উপদেশচ্ছলে তার পুত্রকে বলল- হে ছেলে! আল্লাহর সঙ্গে শরিক করো না। নিশ্চয় আল্লাহর সঙ্গে (কাউকে) শরিক করা মহা জুলুম।’ (সুরা লোকমান : ১৩)
কুরআনুল কারিমের অনেক জায়গায় শিরক না করার ব্যাপারে নির্দেশনা রয়েছে। এ শিরক হচ্ছে মহান আল্লাহ তাআলার প্রতি বড় অত্যাচার।
আল্লাহর সঙ্গে সব ধরনের ছোট-বড় জানা-অজানা শিরক থেকে বেঁচে থাকতে তাঁরই কাছে আশ্রয় কামনার দোয়া শিখিয়েছেন স্বয়ং বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। তাহলো-اَللَّهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُبِكَ اَنْ أُشْرِكَ بِكَ وَ اَنَا أَعْلَمُ وَ اَسْتَغْفِرُكَ لِمَا لَا أَعْلَمُউচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা আন উশরিকা বিকা ওয়া আনা আলামু ওয়া আসতাগফিরুকা লিমা লা আলামু। (মুসনাদে আহমাদ)
Advertisement
অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আমার জানা অবস্থায় তোমার সঙ্গে শিরক করা হতে তোমারই কাছে আশ্রয় চাই। আর অজানা অবস্থায়ও তোমার সঙ্গে শিরক করা থেকে ক্ষমা প্রার্থনা করছি ‘
মুমিন মুসলমানের উচিত, সব সময় আল্লাহর কাছে হাদিসে ঘোষিত এ দোয়া করা। যাতে জানা-অজানা উভয় অবস্থায় শিরক থেকে বাঁচা যায়। কোনো কারণে যদি ইচ্ছায় কিংবা অনিচ্ছায় শিরক হয়েও যায়; তাতেও যেন ক্ষমা পাওয়া যায়।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে ইচ্ছা-অনিচ্ছায় শিরকের ভয়াবহ গোনাহ থেকে মুক্ত রাখুন। হাদিসের ওপর আমল করে উল্লেখিত দোয়াটির ওপর বেশি বেশি আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/জিকেএস
Advertisement