জাতীয়

মাস্ক পরা নিশ্চিতে ডিসি-ইউএনওদের কাছে চিঠি

করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে সবার মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) চিঠি দেয়া হয়েছে। শনিবার (১৩ মার্চ) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এই চিঠি পাঠানো হয়েছে।

Advertisement

এতে বলা হয়, ‘সম্প্রতি করোনা সংক্রমণের হার এবং মৃত্যুর হার গত কয়েক মাসের তুলনায় কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। সংক্রমণের হার রোধের জন্য সর্বক্ষেত্রে সকলের মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন নিশ্চিত করা প্রয়োজন।’

এমতাবস্থায় সবার মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করাসহ স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনের বিষয়টি মনিটরিং করার জন্য বিভাগীয় কমিশনার, ডিসি ও ইউএনওদের অনুরোধ জানানো হয়েছে চিঠিতে।

গত মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে ক্রমবর্ধমান করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়।

Advertisement

বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘আমরা যে যেখানে থাকি, ভ্যাকসিন নিই বা না নিই আমরা যেন অবশ্যই তিনটি জিনিস মেনে চলি। আমরা যেন অবশ্যই বাইরে মাস্ক ব্যবহার করি। যথাসম্ভব যাতে আমরা সতর্কতা অবলম্বন করি। আর তিন নম্বর হলো পাবলিক গ্যাদারিং যেখানে হচ্ছে বিশেষ করে কক্সবাজার বা হিল ট্র্যাকসে বিভিন্ন সামাজিক ও ধর্মীয় গ্যাদারিংগুলো হচ্ছে, সেখানে যেন একটা লিমিটেড সংখ্যায় থাকি। আমাদের নিজেদের যেন একটা দায়িত্ববোধ থাকে- যেখানে বেশি সংখ্যক লোক আছে সেখানে যেন আমি না যাই। যারা যাবেন তারা যাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলি।’

শনিবার (১৩ মার্চ) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের ২১৯টি ল্যাবে ১৬ হাজার ২০৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ১৪ জনের। এ সময়ে মারা গেছেন ১২ জন। তাদের মধ্যে নয়জন পুরুষ ও তিনজন নারী। বিভাগভিত্তিক হিসাব অনুযায়ী, মৃত ১২ জনের সবাই ঢাকা বিভাগের।

নতুন করে ১২ জনের মৃত্যুতে এ নিয়ে দেশে এই মহামারিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৮ হাজার ৫২৭ জনে। মোট শনাক্ত হওয়া রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল পাঁচ লাখ ৫৬ হাজার ২৩৬ জনে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, এক সপ্তাহের ব্যবধানে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্তে নমুনা পরীক্ষা, নতুন রোগী শনাক্ত, মৃত্যু এবং সুস্থতা সবই বেড়েছে। এপিডেমিওলজিক্যাল নবম সপ্তাহের (২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ৬ মার্চ) সঙ্গে এপিডেমিওলজিক্যাল দশম সপ্তাহের (৭ মার্চ থেকে ১৩ মার্চ) তুলনামূলক বিশ্লেষণে এ চিত্র দেখা গেছে।

Advertisement

পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত সপ্তাহের তুলনায় চলতি সপ্তাহে ১৪ দশমিক ৫২ শতাংশ নমুনা পরীক্ষা, ৬৭ দশমিক ২৭ শতাংশ নতুন রোগী শনাক্ত, ৪২ দশমিক ৪১ শতাংশ সুস্থতা এবং ৪৯ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ মৃত্যু বৃদ্ধি পেয়েছে।

আরএমএম/এমআরআর