আইন-আদালত

প্রতারণা মামলার বিচার ও তদন্তের ক্ষমতা পাচ্ছে আদালত ও পুলিশ

আদালত ও পুলিশকে প্রতারণা মামলা বিচার ও তদন্তের ক্ষমতা ফিরিয়ে দিয়ে সংসদে দুর্নীতি দমন কমিশন (সংশোধন) বিল ২০১৫ সংসদে উত্থাপিত হয়েছে। বিলে দুর্নীতি দমন কমিশনকে গতিশীল করতে শুধু ঘুষ ও দুর্নীতির অপরাধ তদন্ত করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। ফলে এখন থেকে প্রতারণাসহ সংশ্লিষ্ট অপরাধ দুদকের অনুমতি ছাড়াই আদালত ও পুলিশ তদন্ত ও বিচার করার ক্ষমতা ফিরে পাবে। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদে রোববার বিলটি উত্থাপন করেন সংসদকার্যে দায়িত্বপ্রাপ্ত কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী। পরে বিলটি পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়। বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতি বলা হয়, দুর্নীতি প্রতিরোধ কল্পে দুর্নীতি দমন কমিশনকে আরো শক্তিশালী, জবাবদিহিতাসম্পন্ন ও কার্যকর প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার জন্য দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর অধিকতর সংশোধনের লক্ষে বিলটি উপস্থাপিত হল। প্রস্তাবিত সংশোধনীর মাধ্যমে ২০০৪ সালের আইনের তফসিলভুক্ত দি প্যানাল কোড, ১৮৬০-এর কতিপয় ধারা (৪০৮, ৪২০, ৪৬২এ/বি, ৪৬৬, ৪৬৭, ৪৬৮, ৪৬৯, ৪৭১ ও ৪৭৭এ) আগের মতো পুলিশ কর্তৃক তদন্ত করার এবং জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিচার্য হওয়ার বিধান পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে। এতে মামলা নিষ্পত্তির হার উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে এবং বিচারপ্রার্থী জনগণ সুফল পাবে। এছাড়া এই সংশোধনীর মাধ্যমে মানিলন্ডারিং প্রতিরাধে আইন ২০১২-এর অধীন কেবল ঘুষ ও দুর্নীতি সংক্রান্ত অপরাধসমূহ দুর্নীতি দমন কমিশনের আওতাভুক্ত হবে। ফলে জাতীয় মামলাসমূহের তদন্ত অধিকতর দক্ষতার সাথে সম্পাদন করা যাবে।এজন্য বিলে ২০০৪ সালে প্রণীত দুর্নীতি দমন কমিশন আইনের (২, ২০, ২৬, ২৮ক, ২৮গ) ৫টি ধারায় সংশোধনী আনা হয়। এইচএস/এসকেডি/পিআর

Advertisement