সিনেমায় সাপ কিংবা সাপের সিনেমা, যাই বলা হোক না কেন পরিসংখ্যান বলছে, দেশীয় চলচ্চিত্র শিল্পের ইতিহাসে অর্ধশতাধিক সিনেমা নির্মাণ করা হয়েছে সাপকে কেন্দ্র করে। শুধু তাই নয়, ইন্ডাস্ট্রির সেরা ব্যবসাসফল সিনেমা ‘বেদের মেয়ে জোসনা’র গল্পেও রয়েছে সাপ।
Advertisement
সাপ, সাপুড়ে ও বেদিনীকে কেন্দ্র করে নির্মিত এসব সিনেমা বরাবরই মনোযোগ কেড়েছে ঢালিউডের দর্শকদের। ইলিয়াস কাঞ্চন, অঞ্জু ঘোষ তো বটেই, শাবানা, জসিম, শাকিব খানসহ ইন্ডাস্ট্রির আরও অনেক রথি মহারথি তারকারাও সাপের সিনেমায় অভিনয় করেছেন, সাপের চরিত্রেও দেখা গেছে অনেককে।
সাপের সিনেমা বানানোতে অনেক পরিচালকই ঢালিউডে বেশ দক্ষতার প্রমাণ দিয়েছেন। তাদের ভিড়ে সবচেয়ে সফল একটি নাম দেলোয়ার জাহান ঝন্টু। তিনি অনেক রোমান্টিক, অ্যাকশন ও পারিবারিক সামাজিক সিনেমার জন্যও সমাদৃত। তবে সাপের সিনেমায় তার বিশেষ আগ্রহ ও নৈপুণ্য লক্ষ করা গেছে।
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে সম্প্রতি ‘তুমি আছো তুমি নেই’ নামের সিনেমা বানিয়ে তুমুল সমালোচনার শিকার হওয়া এই নির্মাতা প্রায় হাফ ডজনেরও বেশি সাপের সিনেমা বানিয়েছেন। তার মধ্যে ‘নাগরানী’, ‘রূপসী নাগিন’, ‘নাচ নাগিনা নাচ’, ‘বিষে ভরা নাগিন’, ‘দুই নাগিন’, ‘সাথী হারা নাগিন’।
Advertisement
সাপের সিনেমা নিয়ে বলতে গিয়ে এক পুরোনো সাক্ষাৎকারে দেলোয়ার জাহান ঝন্টু বলেছেন, ‘সাপ নিয়ে বানানো আমার প্রতিটি ছবিই হিট হয়েছিল। সাপের ছবি তৈরি করেছিলাম মূলত ব্যবসায়িক সাফল্যের কথা ভেবে।’
তার এ দাবি মিথ্যা নয়। ঝন্টুর পরিচালনায় সাপের সবগুলো সিনেমাই ব্যবসাসফল। অনেকগুলো পেয়েছে ‘সুপার ডুপার হিট’র খ্যাতিও।
সেই ১৯৮৩ সালে শাবানা, আলমগীর, জসীম, সুচরিতাকে নিয়ে ‘নাগরানী’ সিনেমা দিয়ে সাপের সিনেমার পরিচালক হিসেবে যাত্রা করেন দেলোয়ার জাহান ঝন্টু। এরপর ১৯৯২ সালে জসীম-নুতন জুটিকে নিয়ে নির্মাণ করেন ‘রুপসী নাগিন’ সিনেমা। সেখানে ছিলেন তরুণ নায়ক মান্নাও।
এরপর তিনি শাকিব খানকে নিয়েও সাপের সিনেমা বানিয়ে সাফল্য পেয়েছেন। ২০০৯ সালের সিনেমা ‘বিষে ভরা নাগিন’ এ শাকিবের নায়িকা ছিলেন মুনমুন। সর্বশেষ আমিন খান ও সাহারাকে নিয়ে ২০১১ সালে ‘সাথী হারা নাগিন’ বানিয়েছেন ঝন্টু।
Advertisement
এলএ/জিকেএস