দেশজুড়ে

নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি : কাদের মির্জা

নোয়াখালীর বসুরহাটের আলোচিত মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেছেন, ‘আমাকে হত্যার জন্য গতকালও (শুক্রবার) একরাম চৌধুরীর বাড়িতে মিটিং হয়েছে। আমি এবং আমার কর্মীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’

Advertisement

কাদের মির্জা বলেন, ‘আমি আল্লাহর উপর নির্ভরশীল। এখন এ বিষয়ে প্রশাসন, সরকার কী পদক্ষেপ নেবে সেটা উনাদের বিষয়। তবে যতক্ষণ দেহে একফোটা রক্ত আছে আমি এখান থেকে সরবো না।’

শনিবার (১৩ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় বসুরহাট পৌরসভায় নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

তদন্তের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে কাদের মির্জা বলেন, ‘আপনি দলীয় লাইনে যে তদন্ত সেটা তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ ও আওয়ামী লীগ নেতা সুজিত রায় নন্দীকে দিয়ে করেন। তারা যে সিদ্ধান্ত দেবে আমি মাথা পেতে নেব।’

Advertisement

তিনি আরও বলেন, ‘সৃষ্ট ঘটনাগুলোর জন্য ঢাকা থেকে বিচার বিভাগীয়সহ এনএসআই/ডিজিএফআই দিয়ে তদন্তের দাবি জানাচ্ছি। এতে আমি বা আমার কোনো কর্মী অপরাধ করলে যে শাস্তি দিবেন মাথা পেতে নেব।’

এর আগে বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) বিকেল ৪টার দিকে স্থানীয় আওয়ামী লীগের বিবদমান এক গ্রুপের নেতা সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলকে নোয়াখালী প্রেসক্লাব এলাকা থেকে গ্রেফতার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। শুক্রবার আদালতের বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এদিকে, বাদলের গ্রেফতারের পর বসুরহাটজুড়ে বৃহস্পতিবার রাতভর কাদের মির্জাকেও গ্রেফতারের গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। অতিরিক্ত র‌্যাব, পুলিশ ও গোয়েন্দা সদস্যরা পৌরভবন ঘিরে রাখায় জনমনে আশঙ্কা দেখা দেয়।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি গুলিবিদ্ধ হয়ে সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির নিহত হন। এরপর গত ৯ মার্চ রাতে বসুরহাট পৌরভবনের পাশে আবারো ওই দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আলা উদ্দিন নামের আরেকজন সিএনজিচালক নিহত হন।

Advertisement

আওয়ামী লীগের বিবদমান এই দুই গ্রুপের নিয়ন্ত্রণ করছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোটভাই পৌরমেয়র আবদুল কাদের মির্জা এবং উপজেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল।

এএইচ/জিকেএস