করোনাভাইরাসে মৃত্যু ও শনাক্তের সংখ্যা প্রতিদিনই বেড়ে চলেছে। বিশ্বজুড়ে এখন পর্যন্ত এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১১ কোটি ৯৫ লাখ ৯৮ হাজার ৮৩৮ জন। মারা গেছেন ২৬ লাখ ৫০ হাজার ৯৩১ জন। এ মহামারি থেকে বিশ্বব্যাপী সুস্থ হয়েছেন ৯ কোটি ৬২ লাখ ৪৭ হাজার ৯৭২ জন।
Advertisement
শনিবার (১৩ মার্চ) বাংলাদেশ সময় সকাল সোয়া ৮টায় আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যানভিত্তিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় ৫ লাখ ৪৫ হাজার ৫৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিশ্বে সর্বোচ্চ শনাক্তের সংখ্যাও যুক্তরাষ্ট্রে। এখন পর্যন্ত দেশটিতে ২ কোটি ৯৯ লাখ ৯৩ হাজার ৪২৩ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ২ কোটি ২০ লাখ ৩১ হাজার ২২০ জন।
করোনা শনাক্তের দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ব্রাজিল। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ১ কোটি ১৩ লাখ ৬৮ হাজার ৩১৬ জন। তাদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ৭৫ হাজার ২৭৬ জনের। মৃত্যু বিবেচনায়ও দেশটি বিশ্বে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে। ব্রাজিলে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১ কোটি ৯৮০ জন।
Advertisement
করোনাভাইরাস শনাক্তের দিক থেকে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারত। এই দেশটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ১ কোটি ১৩ লাখ ৩৩ হাজার ৪৯১ জন। তাদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৫৮ হাজার ৪৮৩ জনের। ভারতে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১ কোটি ৯ লাখ ৭১ হাজার ৩৪৭ জন।
করোনাভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় রাশিয়ার অবস্থান চতুর্থ। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪৩ লাখ ৭০ হাজার ৬১৭ জন। মারা গেছেন ৯১ হাজার ২২০ জন। আর সুস্থ হয়েছেন ৩৯ লাখ ৭৩ হাজার ২৯ জন।
আক্রান্ত বিবেচনায় পঞ্চম স্থানে থাকা যুক্তরাজ্যে এখন পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছেন ৪২ লাখ ৪৮ হাজার ২৮৬ জন। মারা গেছেন ১ লাখ ২৫ হাজার ৩৪৩ জন। সুস্থ হয়েছেন ৩৪ লাখ ২৪ হাজার ৯২ জন।
তালিকায় ফ্রান্স ষষ্ঠ, স্পেন সপ্তম, ইতালি অষ্টম, তুরস্ক নবম ও জার্মানি দশম স্থানে রয়েছে। আর বাংলাদেশের অবস্থান ৩৩তম।
Advertisement
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। দেশটিতে করোনায় প্রথম রোগীর মৃত্যু হয় ২০২০ সালের ৯ জানুয়ারি। ওই বছরের ১৩ জানুয়ারি চীনের বাইরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় থাইল্যান্ডে। পরে ধীরে ধীরে তা বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ৩০ জানুয়ারি বৈশ্বিক স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। গত ২ ফেব্রুয়ারি চীনের বাইরে করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ফিলিপাইনে। এরপর গত ১১ মার্চ করোনাকে বৈশ্বিক মহামারি ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।
এসএস/এএসএম