দেশজুড়ে

ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে বিশুদ্ধ পানির সংকট

ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকট দেখা দিয়েছে। হাসপাতালের বাইরে থেকে পানি এনে রোগী ও স্বজনদের পান করতে হচ্ছে।এতে করে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন তারা।

Advertisement

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঠাকুরগাঁও ২০০ শয্যার আধুনিক সদর হাসপাতালের দুটি নলকূপই বিকল হওয়ায় পানি সংকট দেখা দিয়েছে। এতে হাসপাতালের ভর্তি প্রায় তিন শতাধিক রোগীর বিশুদ্ধ পানির চাহিদা মেটাতে হিমশিম খাচ্ছেন তাদের স্বজনরা। বাধ্য হয়েই হাসপাতালের বাইরে গিয়ে অনেক দূর থেকে পানি আনতে হচ্ছে তাদের। বিশুদ্ধ পানি সংকটে কারণে রাতের বেলা অনেক রোগীকে বাথরুমের ট্যাপ থেকে নোংরা পানি পান করতে হচ্ছে।

ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন সদর হাসপাতালে প্রায় ২-৩ শতাধিক রোগী ভর্তি থাকেন। আর প্রায় চার থেকে পাঁচ শতাধিক রোগী আউটডোরে চিকিৎসা নেন। হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়া রোগী ও স্বজনদের বিশুদ্ধ পানির চাহিদা মেটাতে হাসপাতালে রয়েছে মাত্র দুটি নলকূপ। তাও আবার বিকল হয়ে পড়ে আছে।

চিকিৎসা নিতে আসা আলেয়া বেগম বলেন, ‘হাসপাতালে খাবার পানির কোনো ব্যবস্থা নেই। বাইরের হোটেল কিংবা খাবার দোকান থেকে পানি আনতে হয়। সোমবার রাত দেড়টার দিকে পানির দরকার হলে বাইরে গিয়ে খেয়ে আসি।’

Advertisement

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের প্রধান গেটের বামপাশে থাকা নলকূপটি নষ্ট। অপরদিকে শিশু বিভাগের সামনের নলকূপটিও দীর্ঘদিন ধরে নষ্ট হয়ে আছে। বাধ্য হয়ে প্রায় দূরে একটি মসজিদের সামনের টিউবওয়েল থেকে পানি সরবরাহ করছেন এখানকার রোগীর স্বজনরা।

বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার আমজানখোর গ্রামের ইসমেতারা বলেন, ‘মেয়েকে নিয়ে বুধবার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। হাসপাতালের নলকূপ নষ্ট থাকায় রাতে পানি সংগ্রহ করতে পারিনি। ভোরে হাসপাতালের বাইরে থেকে এক বোতল পানি আনি। এভাবে সব রোগীই পানি সংকটে রয়েছেন।’

রোগীর স্বজনরা জানান, হাসপাতালের পাইপ লাইনে যে পানি আসছে, তাতে ময়লা ও পোকা থাকায় তা পানের অযোগ্য। তবে, সে পানি দিয়ে ধোয়া-মোছার কাজটি করছেন তারা।

ঠাকুরগাঁও সিভিল সার্জন ডা. মাহফুজার রহমান বলেন, পানি সমস্যার বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হয়েছি। দায়িত্বে থাকা ওয়ার্ড মাস্টারদের রোগীদের যাতে খাবার পানি সরবরাহে কোনো কষ্ট না হয়, সে ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

Advertisement

তিনি আরও জানান, পানি সমস্যার বিষয়টি নিশ্চিত হলে অবশ্যই গণপূর্ত বিভাগকে সমাধানের জন্য বলা হবে।

তানভীর হাসান তানু/এসআর/এমকেএইচ