চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে একটি মাদরাসায় ৮ বছর বয়সী এক শিশু শিক্ষার্থীকে নির্মম নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক ইয়াহহিয়াকে কারাগারে পাঠিয়েছেন চট্টগ্রামের একটি আদালত।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) দুপুরে জেলা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জিহান সানজিদা এ আদেশ দেন।
এর আগে বুধবার বিকেলে রাঙ্গুনিয়ার সাফরভাটা এলাকা থেকে ইয়াহহিয়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শিশুর মা পারভিন বাদী হয়ে হাটহাজারী থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মঙ্গলবার বিকেলে মায়ের পিছু পিছু যাওয়ার কারণে শিশু ইয়াসিনকে বেদম মারধর করেন ইয়াহইয়া। রাতেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয় এ ঘটনার একটি ভিডিও।
Advertisement
৩৩ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, মায়ের পিছু পিছু আসা ওই শিক্ষার্থীকে ঘাড় ধরে নিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষক ইয়াহহিয়া। তারপর কক্ষে নেয়ার পর সরু বেত দিয়ে বেধড়ক পেটাতে থাকেন। শিশুটি বাঁচার আকুতি জানাতে থাকে। তারপরও ক্ষান্ত হননি শিক্ষক। অনবরত চলে তার পিটুনি। এ নির্মম নির্যাতনের প্রতিবাদে অনলাইনে সমালোচনা ও প্রতিবাদের ঝড় ওঠে।
ওইদিন রাত দেড়টার দিকে মাদরাসা থেকে শিশু শিক্ষার্থীটিকে উদ্ধার করেন হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রুহুল আমিন। আটক করা হয় নির্যাতনকারী শিক্ষক হাফেজ ইয়াহহিয়াকে। ওই সময় নির্যাতনের শিকার শিশুর পরিবারের অনীহার কারণে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া যায়নি বলে জানান ইউএনও।
এদিকে, ওই শিশু শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের ঘটনায় কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। ১৪ মার্চের মধ্যে এ বিষয়ে আদালতকে জানাতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি নাজমুল আহসান ও বিচারপতি শাহেদ নূর উদ্দিনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে এই আদেশ দেন।
Advertisement
১৪ মার্চের মধ্যে এ বিষয়ে জানাতে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক (ডিসি) পুলিশ সুপার (এসপি) ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আবু আজাদ/এসএস/জিকেএস