অর্থনীতি

চাল-তেল-চিনির বাড়তি দামে বেড়েছে মূল্যস্ফীতি

চাল, ব্রয়লার মুরগি, ভোজ্য তেল, চিনি ইত্যাদির বাড়তি দাম থাকায় গত ফেব্রুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। মাসটিতে জাতীয় পর্যায়ে মূল্যস্ফীতির হয়েছে ৫ দশমিক ৩২ ভাগ। যা জানুয়ারিতে ছিল শতকরা ৫ দশমিক শূন্য ২ ভাগ। জানুয়ারির তুলনায় ফেব্রুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে দশমিক ৩০ ভাগ।

Advertisement

বুধবার (১০ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত বিবিএস ভবনে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন বিবিএসের ন্যাশনাল একাউন্টিং উইংয়ের পরিচালক (মূল্য ও মজুরি) মো. আবদুল কাদির মিয়া।

তার দেয়া তথ্যমতে, ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে মূল্যস্ফীতির শতকরা হার ছিল ৫ দশমিক ৪৬ ভাগ। এই হিসাবে গত বছরের তুলনায় কমেছে।

এই ফেব্রুয়ারিতে খাদ্য ও খাদ্য বহির্ভূত উপ-খাতে মূল্যস্ফীতি হয়েছে যথাক্রমে শতকরা ৫ দশমিক ৪২ ও ৫ দশমিক ১৭ ভাগ। যা জানুয়ারিতে ছিল যথাক্রমে শতকরা ৫ দশমিক ২৩ ও ৪ দশমিক ৬৯ ভাগ।

Advertisement

মূল্যস্ফীতির হ্রাস-বৃদ্ধি পর্যালোচনায় দেখা যায়, চাল, ব্রয়লার মুরগি, ভোজ্য তেল, চিনি ইত্যাদির মূল্য চলতি বছরের জানুয়ারির তুলনায় ফেব্রুয়ারিতে বেড়েছে। অপরদিকে আলু, পেঁয়াজ, শাক-সবজি (বেগুন, মিষ্টি কুমড়া, ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিম, মুলা, টমেটো, গাজর ইত্যাদি), ফল (আঙুর, বরই ইত্যাদি) এবং মশলা (জিরা, দারুচিনি) ইত্যাদির মূল্য জানুয়ারির তুলনায় ফেব্রুয়ারিতে কমেছে।

গত এক বছরের (২০২০ সালের মার্চ থেকে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত) চলন্ত গড় মূল্যস্ফীতির হার হয়েছে শতকরা ৫ দশমিক ৬৩ ভাগ। পূর্ববর্তী একই সময়ে (২০১৯ সালের মার্চ থেকে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত) চলন্ত গড় মূল্যস্ফীতির হার হয়েছে শতকরা ৫ দশমিক ৬০ শতাংশ।

এ বিষয়ে ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টিং উইংয়ের পরিচালক (মূল্য ও মজুরি) মো. আবদুল কাদির মিয়া বলেন, ‘মূল্য কী কারণে বেড়েছে, সেটা আমরা জানি না। কিন্তু মূল্যস্ফীতি বেড়েছে, সেটা জানি। জিনিসের দাম বেড়েছে, তাই মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। স্কুল খুলবে খুলবে করছে, এর প্রভাব হয়তো কিছুটা পড়েছে। ’

পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী বলেন, ‘কারণটা তো আমরা সরাসরি বলতে পারবো না যে, কী কারণে বেড়েছে। তবে বাজারের যে মূল্য, সেগুলো বেড়েছে। এটা একটা বড় ব্যাপার। তবে আমরা দেখতে পাই, খাদ্যের ক্ষেত্রে চাল, ব্রয়লার মুরগি, ভোজ্য তেল, চিনি ইত্যাদি ক্ষেত্রে দাম ফেব্রুয়ারি মাসে বেড়েছে। আলু, পেঁয়াজ, শাকসবজি, ফল এগুলো কিন্তু আবার কমেছে। খাদ্যের কোনো কোনো ক্ষেত্রে যেমন বেড়েছে, আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে কমেছে। আর খাদ্য বহির্ভূত নির্মাণ খাতের পণ্যের দাম বেড়েছে। চিকিৎসা ক্ষেত্রেও বেড়েছে।’

Advertisement

পিডি/এসএস/এএসএম