দেশব্যাপী চলমান টিকাদান কার্যক্রমে সাড়া দিয়ে টিকা নিয়েছেন ৪০ লাখ ১৩ হাজার ৯৬৩ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ২৫ লাখ ৬০ হাজার ৫০৬ জন ও নারী ১৪ লাখ ৫৩ হাজার ৪৫৭ জন। এ পর্যন্ত নিবন্ধন করেছেন ৫২ লাখ ৫১ হাজার ৯৩৫ জন। আর বিরূপ প্রতিক্রিয়ার উপসর্গ বা অ্যাডভার্স ইভেন্ট ফলোইং ইমিউনাইজেশন (এইএফআই) রিপোর্ট করেছেন ৮৬৬ জন।
Advertisement
মঙ্গলবার (৯ মার্চ) স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (এমআইএস ও লাইন ডিরেক্টর এইচআইএস অ্যান্ড ই-হেলথ) অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় এক লাখ সাত হাজার ৪৬৩ জন টিকা নিয়েছেন। তাদের মধ্যে পুরুষ ৬৭ হাজার ২৯৫ জন ও নারী ৪০ হাজার ১৬৮ জন। এ সময়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার উপসর্গ বা এইএফআই রিপোর্ট করেছেন ৭ জন।
বিভাগীয় পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মোট টিকাগ্রহণকারীর মধ্যে ঢাকায় ১২ লাখ ৬৩ হাজার ২২৪ জন, ময়মনসিংহে এক লাখ ৬৯ হাজার ৬৪০ জন, চট্টগ্রামে আট লাখ ৪২ হাজার ৭৭১ জন, রাজশাহীতে পাঁচ লাখ ৩৫ হাজার ৪৩ জন, রংপুরে তিন লাখ ৬৮ হাজার ৫৭৮ জন, খুলনায় পাঁচ লাখ ২৫ হাজার ১৮২ জন, বরিশালে এক লাখ ৮২ হাজার ৪৯৮ জন এবং সিলেট বিভাগে দুই লাখ ২৭ হাজার ২৭ জন টিকা নিয়েছেন।
Advertisement
গত ২৪ ঘণ্টায় টিকাগ্রহণকারীদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৩৫ হাজার ৭৫৯ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে পাঁচ হাজার ২৫৮ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৮ হাজার ৬৯৯ জন, রাজশাহী বিভাগে ১১ হাজার ৭৫৬ জন, রংপুর বিভাগে ১১ হাজার ৪৬ জন, খুলনা বিভাগে ১৬ হাজার ৮৪০ জন, বরিশাল বিভাগে চার হাজার ৫৩১ জন এবং সিলেট বিভাগে তিন হাজার ৫৭৪ জন টিকা নিয়েছেন।
গত ২৭ জানুয়ারি দেশে প্রথম পরীক্ষামূলক টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। ওই দিন প্রথম টিকা নেন রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনু ভেরোনিকা কস্তা। প্রথম দফায় কয়েকশ’ মানুষকে পরীক্ষামূলকভাবে টিকা দেয়া হয়। এরপর ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে রাজধানীসহ সারাদেশে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়।
এমইউ/এএএইচ/জেআইএম
Advertisement