মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাঁসি কার্যকরের পর বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর ও জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। রোববার সকাল সোয়া ৭টায় ফরিদপুরে আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ ও চট্টগ্রাম রাউজানের গহিরায় সকাল সাড়ে ৯ টায় সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর মরদেহের দাফন সম্পন্ন করা হয়।এর আগে সকাল ৯টার দিকে সাকার মরদেহ বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স চট্টগ্রামের রাউজানে পৌঁছায়। পরে সোয়া ৯টার দিকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ডেপুটি জেলার মজাহার বিপ্লবের কাছ থেকে সাকার মরদেহ বুঝে নেন তার ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী। পরে সকাল সাড়ে ৯টায় রাউজানের গহিরায় পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।অন্যদিকে ভোর ৬টা ৪০ মিনিটে জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের মরদেহ তার নিজ জেলা ফরিদপুরে নেয়া হয়। পরে জানাজা শেষে সকাল সোয়া ৭টার দিকে আইডিয়াল ক্যাডেট মাদরাসা গেটের ডান পাশে তাকে দাফন করা হয়। দুই মানবতাবিরোধী অপরাধীর ফাঁসি কার্যকর প্রক্রিয়া থেকে শুরু করে দাফন কার্যক্রম শেষ করা পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়। কোথাও কোনো অপ্রিতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। তবে সাকার চৌধুরীর জানানা নিয়ে কিছুটা উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। সাকার বাড়ী থেকে আধা কিলোমিটার দূরে গহিরা কলেজ মাঠে জানাজা করতে চাইলে প্রশাসনের বাধায় তা হতে পারেনি। পরে নিজ বাড়ী বায়তুল বিল্লাল উঠানেই সাকার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।প্রসঙ্গত, মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরী ও জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। রোববার রাত ১২টা ৫৫ মিনিটে তাদের ফাঁসি কার্যকর করা হয়। এর ফলে মানবতাবিরোধী অপরাধে এখন পর্যন্ত মোট জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হলো। এর আগে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লা ও দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের ফাঁসির রায় কার্যকর করা হয়।জীবন মুছা/এসএম তরুন/আরএস/এমএস
Advertisement