ফিলিপাইনের উত্তরাঞ্চলে পুলিশের সাম্প্রতিক ধরপাকড়ে অন্তত ৯ আন্দোলনকর্মী নিহত হয়েছেন। মাত্র দুদিন আগেই দেশের সব কমিউনিস্ট বিদ্রোহীদের ‘হত্যা’ এবং ‘নিঃশেষ’ করে দিতে সরকারি বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছিলেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতের্তে।
Advertisement
রোববার (৭ মার্চ) কেন্দ্রীয় প্রদেশ মেট্রো ম্যানিলা সংলগ্ন তিনটি প্রদেশ থেকে অন্তত ছয় ব্যক্তিকে গ্রেফতার করার কথা জানিয়েছে পুলিশ। এ সময় আরও ছয় জন ‘পালিয়ে যায়’ বলেও জানায় তারা।
ফিলিপাইনের পুলিশ আরও জানায়, বিদ্রোহের অভিযোগে অন্তত ১৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে। যাদের মধ্যে কয়েকজন মারা গেছেন।
তবে ওইসব ব্যক্তিকে ‘হত্যা’ করা হয়েছে বলে অভিযোগ মানবাধিকার সংগঠনগুলোর। তাদের মধ্যে ক্যাভিট প্রদেশের শ্রমিক নেতা এমানুয়েল অ্যাসানসিওনও রয়েছেন বলে এক বিবৃতিতে দাবি করেছে মৎস্যজীবীদের সংগঠন পামালাকায়া।
Advertisement
এদিকে, ইউনিভার্সিটি অব দ্য ফিলিপিনস এর ছাত্রদের প্রকাশনী ইউপিএলবি পারসপেক্টিভ জানিয়েছে, বাটাঙ্গাস প্রদেশে এক শ্রমিক সংগঠক দম্পতিকে হত্যা করা হয়েছে। মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা আগে ১০ বছর বয়সী সন্তানসহ তাদের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। সরকারি বাহিনী তাদের তুলে নিয়ে গেলেও এ ঘটনায় কেউ দায় স্বীকার করেনি।
রোববার রিজাল প্রদেশেও দুই আন্দোলনকর্মীকে গুলি করে হত্যার কথা জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠন কারাপাতান।
সংগঠনটির সেক্রেটারি জেনারেল ক্রিস্টিনা পালাবের অভিযোগ, ‘প্রেসিডেন্ট দুতার্তের দেয়া হত্যার নির্দেশ বাধ্যগতভাবে পালন করছে সেনাবাহিনী।’
ফিলিপাইনে সাম্প্রতিক এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)। এসব ঘটনাকে কর্তৃপক্ষের ‘সাজানো পরিকল্পনা’ বলে অভিহিত করেছে তারা।
Advertisement
এসএস/জেআইএম