বিকেল গড়াতেই মিডিয়া পাড়ায় খবর চাউর হলো, জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ সুজনকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন তারই অগ্রজপ্রতিম তথা পূর্বসূরি জাতীয় দলের আরেক সাবেক অধিনায়ক রকিবুল হাসান।
Advertisement
আইনজীবী মো. আবু তালেব জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন, রকিবুল হাসানকে মারতে যাওয়ায় খালেদ মাহমুদ সুজনকে ক্ষমা চাওয়ার জন্য লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
ঘটনা কদিন আগের। কক্সবাজার স্টেডিয়ামে লিজেন্ডস চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে গিয়ে এক পর্যায়ে লেগে গিয়েছিল রকিবুল হাসান আর খালেদ মাহমুদ সুজনের। কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে রকিবুলের দিকে তেড়ে গিয়ে তাকে মারতে উদ্যত হন সুজন। প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা মতে, ওই সময় রকিবুলকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজও করেন সুজন।
ধরেই নেয়া হয়েছে, ওই ঘটনার জেরেই সুজনকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার জন্য আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন রকিবুল। কিন্তু এ ব্যাপারে জাগো নিউজের পক্ষ থেকে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে রীতিমতো রহস্যাবৃত আচরণ করেন জাতীয় দলের এই সাবেক অধিনায়ক।
Advertisement
সুজনের আচরণ সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে রকিবুল হাসান জাগো নিউজকে বলেন, ‘কক্সবাজারে সুজনের আচরণ ও কথাবার্তায় আমি হতবাক। চরম হতাশ। আমি তার উগ্র আর রুদ্র মূর্তি দেখে রীতিমতো বিস্ময়ে বিমূঢ় হয়ে যাই। একটি কথাও বলিনি।’
আচ্ছা, আপনি যে খালেদ মাহমুদ সুজনকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার জন্য লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন, সে সম্পর্কে কিছু বলুন। এমন প্রশ্নে নিমিষেই পাল্টে যায় রকিবুল হাসানের সুর। প্রথমে বলেন, ‘আইনি নোটিশ তো দেয়া হয়নি। তবে দেব।’
কিন্তু যখন তার আইনজীবী আবু তালেবের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে প্রশ্ন করা হয়, তখনই রকিবুল ১৮০ ডিগ্রি বাঁক নিয়ে বসেন। বলেন, ‘কই, আমি তো কোনো লিগ্যাল নোটিশ পাঠাইনি! আমি জানিই না। কোনো আইনজীবীও নিয়োগ করিনি। আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না। ‘
আইনজীবী আবু তালেবের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘আমি ওই নামের কোনো আইনজীবীকে চিনিই না। আমি তার মাধ্যমে লিগ্যাল নোটিশ পাঠাব কীভাবে? আমি ওই আইনি নোটিশ পাঠানোর বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নই।’
Advertisement
তবে পরে রকিবুল বোঝানোর চেষ্টা করেন, তার কোনো ভক্ত বা শুভাকাঙ্ক্ষী নিজ আগ্রহে আইনি নোটিশ পাঠাতেও পারেন। তার ভাষায়, ‘সুজনের অমন আচরণের পর আমাকে দেশ ও বিদেশ থেকে অনেকে ফোন করে, মেসেজ পাঠিয়ে সহানুভূতি জানিয়েছেন। আমার ব্যক্তি ইমেজ ক্ষুণ্ন হওয়ায় হয়তো কেউ যেচেই সুজনকে আইনি নোটিশ পাঠাতে পারে। আমি এ সম্পর্কে কিছুই জানি না। আমি কোনো নোটিশ পাঠাইনি।’
এআরবি/এমএমআর/এমকেএইচ