বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষায় নারীদের অংশগ্রহণ বাড়লেও অনেকে চাকরির সুযোগ পাচ্ছেন না। শিক্ষিত নারীদের বেকারত্বের হার পুরুষের চেয়ে তিনগুণ বেশি। সরকারের দুই পৃথক সংস্থার গবেষণায় উঠে এসেছে এমন চিত্র।
Advertisement
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সমাজ ও রাষ্ট্র কাঠামো যথেষ্ট নারী বান্ধব না হওয়ায় অনেক উচ্চশিক্ষিত নারী কর্মক্ষেত্রে আসছেন না। এতে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে অর্থনীতিতে নারীর অবদান।
বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর গবেষণা বলছে, উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে নারীর উপস্থিতির হার ৪৮ দশমিক ৪৩ শতাংশ। আর বিশ্ববিদ্যালয়ে এ হার ৩৬ দশমিক ২৩ শতাংশ। প্রতিবছরই বাড়ছে এ হার।
বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইজ) ২০১৯ সালের গবেষণা অনুযায়ী, প্রাথমিক শিক্ষায় নারীর উপস্থিতি ৫১ দশমিক ০৮ শতাংশ, মাধ্যমিকে ৫৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ, উচ্চ মাধ্যমিকে ৪৮ দশমিক ৪৩ শতাংশ, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ৩৬ দশমিক ২৩ শতাংশ।
Advertisement
এদিকে পরিসংখ্যান ব্যুরোর ২০১৬-১৭-এর শ্রমজরিপ অনুসারে দেশে নারীর বেকারত্বের হার পুরুষের তুলনায় প্রায় তিনগুণ। উচ্চশিক্ষিত নারীদের ২১ দশমিক ৪ ভাগ বেকার হলেও পুরুষদের মধ্যে বেকার ৮ দশমিক ৩ ভাগ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃ-বিজ্ঞান বিভাগ অধ্যাপক জোবাইদা নাসরীন বলেন, ‘চাকরি পেতে সমস্যার পাশাপাশি অনেক উচ্চশিক্ষিত নারীই বিভিন্ন কারণে কাজে যোগ দিতে অনাগ্রহী।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান সানজিদা আক্তার বলেন, ‘উচ্চশিক্ষিত নারী-পুরুষ দেশের সম্পদ। নারীদের অধিক সংখ্যায় কর্মক্ষেত্রে আনতে সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের পাশাপাশি প্রয়োজন নারী বান্ধব কর্মক্ষেত্র।’
চিন্তাবিদরা মনে করছেন, উচ্চশিক্ষায় নারীর উপস্থিতি বাড়লেও কমেনি নিপীড়ন। তাই নারীর আর্থিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে প্রয়োজন কর্মক্ষেত্রে অংশগ্রহণ বাড়ানো। তাতে নারীর অবস্থানের আমূল পরিবর্তন হবে।
Advertisement
এমএইচএম/জেডএইচ/জেআইএম