বরিশালে গৌরনদীতে সরকারি ওষুধ পাচারের ছবি ও ভিডিও ধারণ করায় কয়েকজন সংবাদকর্মীকে প্রায় দুই ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (৬ মার্চ) রাত ৮টায় গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে।
Advertisement
অবরুদ্ধ সংবাদকর্মীরা ফেসবুক লাইভে ওষুধ চুরি ও তাদের আটকে রাখার বিষয়টি তুলে ধরলে হাসপাতাল কম্পাউন্ডে এলাকাবাসী ও অন্যান্য সংবাদকর্মীরা জড়ো হয়। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও থানা পুলিশও ঘটনাস্থলে আসে।
এরপর অবরুদ্ধ সংবাদকর্মীদের ছেড়ে দেয়া হয়। পরে স্থানীয় লোকজন এবং সংবাদকর্মীরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কম্পাউন্ডে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন। রাত ১টায় ইউএনও ঘটনা তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির আশ্বাস দিলে পরিবেশ শান্ত হয়।
মাইটিভির গৌরনদী উপজেলা প্রতিনিধি মো. গিয়াস উদ্দিন মিয়া অভিযোগ করেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে সরকারি ওষুধ পাচার করার খবরে শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে তিনি ও আনন্দ টিভির প্রতিনিধি কাজী আল আমীনসহ কয়েকজন সংবাদকর্মী সেখানে যান। এসময় তারা দেখতে পান আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. মাজেদুল কাওসার ও স্টোর কিপার সাইদুর রহমান, স্টাফ আনোয়ার হোসেন, খোকন ও দুলালসহ বহিরাগত আরো ৪-৫ জন কয়েক বস্তা সরকারি ওষুধ বাইরে নিয়ে যাচ্ছেন।
Advertisement
এই ঘটনার ছবি ও ভিডিও ধারণ করতে গেলে ডা. মাজেদুল কাওসার ও স্টাফরা বেশ কিছু সরকারি ওষুধ ফেলে পালিয়ে যান। তবে কিছুসময় পর তারা হাসপাতাল ত্যাগ করতে গেলে হাসপাতালের দুইটি গেট তালাবদ্ধ দেখতে পান।
গিয়াস উদ্দিন বলেন, আমরা ফেসবুক লাইভে ওষুধ চুরি ও তাদের আটকে রাখার বিষয়টি তুলে ধরলে হাসপাতাল কম্পাউন্ডে এলাকাবাসী ও সংবাদকর্মীরা জড়ো হন। ইউএনও ঘটনাস্থলে পৌঁছালে রাত সাড়ে ১০টায় তালা খুলে দেয়া হয়।
পরে ইউএনও’র নির্দেশে থানা পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কোয়ার্টারের পাশ থেকে বস্তা ও কার্টনভর্তি সরকারি ওষুধ ও ইনজেকশন জব্দ করে।
গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. সাইয়্যেদ মো. আমরুল্লাহ জানান, স্টোর কিপার মেয়াদোত্তীর্ণ কিছু ওষুধ নষ্ট করার জন্য নিয়ে যাচ্ছিলেন। রাতের বেলা অন্ধকারে হঠাৎ কয়েকজনকে দেখে হয়তো ঘাবড়ে গেছেন। এরপরও বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে বলে জানান তিনি।
Advertisement
গৌরনদীর ইউএনও বিপিন চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, বিষয়টি স্বাস্থ্য বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করা হয়েছে। পাশাপাশি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সাইফ আমীন/এসএমএম/জিকেএস