পানি নিষ্কাশনের জন্য নগরীজুড়ে চলছে ড্রেন সংস্কার কাজ। বন্ধ রয়েছে প্রায় ৭০ শতাংশ ড্রেন। কিন্তু নগরীর প্রায় ৪৫ হাজার বসতবাড়ির পানি যথারীতি আসছে ড্রেনে। পানি যথাসময়ে নিষ্কাশন না হওয়ায় নোংরা পানি মশার প্রজনন ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে।
Advertisement
এসব কারণে গত কয়েক সপ্তাহ যাবৎ হঠাৎ করেই মশার উৎপাত বেড়েছে খুলনা নগরীতে। আগে মশার উপদ্রব রাতে থাকলেও এখন দিনের বেলাতেও মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ট নগরবাসী। ঘরে বাইরে, বাসাবাড়িতে এমনকি অফিস-আদালতেও মশার হাত থেকে রেহাই নেই।
পাড়া বা মহল্লাতে ফগার মেশিন হাতে আগে সিটি কর্পোরেশনের লোকদের দেখা গেলেও এখন তারা মশা নিধন অভিযান কমিয়ে দিয়েছে, এমনটাই অভিযোগ নগরবাসীর।
নগরীর পশ্চিম টুটপাড়ার বাসিন্দা তাসলিমা আক্তার, নাফিসা হোসেন, জাহিদুল ইসলাম বলেন, মশার যন্ত্রণায় ঘরের দরজা জানালাও খোলা যায় না। এখনতো পরিস্থিতি এমন যে, দিনের বেলাও মশারি টানিয়ে ঘুমাতে হয়। আমাদের এলাকার ড্রেনটা উন্মুক্ত, মাঝে মাঝে সিটি কর্পোরেশন থেকে আগে লোক এসে স্প্রে ছেটাতো। এখন আর তাদের দেখা পাওয়া যায় না।
Advertisement
মেহেদী হাসান বলেন, গত কয়েকদিনে মশার উপদ্রব অনেক বেড়েছে। রাতে তো মনে হয় মশা আরও কয়েকগুন বেড়ে যায়। মশার যন্ত্রণায় যে কয়েল জ্বালাব তারও উপায় নেই, আমার ছোট ছেলেটার শ্বাসকষ্টের সমস্যা আছে, কয়েলের গন্ধ সহ্য করতে পারে না।
সরেজমিনে নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সংস্কারের জন্য ড্রেনের ঢাকনা সরিয়ে রাখা এবং ড্রেনের বর্জ্য বিক্ষিপ্তভাবে ফেলে রাখা হয়েছে। এতে মশার প্রজনন বেড়ে গেছে বলে মনে করছেন নগরবাসী। ফলে দিনে রাতে মশার যন্ত্রণা থেকে মুক্তি মিলছে না নিম্নবিত্ত থেকে উচ্চবিত্ত কারোরই।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (০৪ মার্চ) খুলনা নগরভবনে অনুষ্ঠিত এক সভায় মশকনিধন কার্যক্রম গতিশীল করার জন্য অতিরিক্ত ফগার মেশিন ও হ্যান্ড স্প্রে ক্রয়, পানি নিষ্কাশনের খালসমূহের প্রতিবন্ধকতা অপসারণ এবং মহানগরীকে দু’টি জোনে বিভক্ত করে মাসব্যাপী পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এ সভায় সভাপতিত্ব করেন সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল আব্দুল খালেক।
আলমগীর হান্নান/এফএ/এমএস
Advertisement