আইন-আদালত

নামের মিলে জেলে মানিক, আদেশ আজ

মাদক মামলায় চার বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির নাম মো. মানিক মিয়া। আর গ্রেফতার হয়ে জেল খাটছেন মানিক হাওলাদার। নামের ‘মানিক’ অংশের মিল থাকায় মাদক মামলায় একজনের স্থলে আরেকজনের জেল খাটা নিয়ে মানিক হাওলাদারের স্ত্রীর আবেদনের বিষয়ে আদেশ আজ।

Advertisement

আজ (রোববার) হাইকোর্টের বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চ্যুয়াল বেঞ্চ এ বিষয়ে আদেশ দেবেন।

মানিক হাওলাদার নামের ওই ব্যক্তির স্ত্রী সালমা তার স্বামীর মুক্তি চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন। ওই আবেদনের শুনানি শেষ হয়েছে গত ৩ মার্চ। ওই দিন আবেদনের শুনানি নিয়ে এ বিষয়ে আদেশের জন্য আজ ৭ মার্চ দিন ধার্য করেন আদালত।

এ সংক্রান্ত বিষয়ে শুনানি নিয়ে গত বুধবার (৩ মার্চ) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট ভার্চ্যুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

Advertisement

আদালতে ওইদিন আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী পার্থ সারথী রায়। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।

আইনজীবীরা জানান, ২০০৯ সালে একটি গাড়িতে ৬৬৮ বোতল ফেনসিডিল পাওয়ার অভিযোগে ওই বছরের ২ জুন সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানায় চারজনের বিরুদ্ধে করা মামলা হয়। মামলার আসামি মো. মানিক মিয়াকে ২০০৯ সালের ৩ জুন গ্রেফতার করেন পুলিশ। কিছু দিন কারাভোগের পর একই বছর হাইকোর্ট থেকে জামিন পান মানিক। মামলার বিচার শেষে ২০১৯ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি সিরাজগঞ্জ আদালত রায় ঘোষণা করেন। রায়ে চার আসামিকে চার বছরের কারাদণ্ড দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গার মন্টু শেখ ওরফে জামাল উদ্দিন ও সোহরাব হোসেন, পটুয়াখালী বাউফল থানার মো. জামাল হোসেন ও শরীয়তপুর জেলার সখিপুর থানার মো. মানিক মিয়া।

জেলে থাকা মানিক হাওলাদারের ছোট ভাই রতন হাওলাদার বলেন, আমাদের বাড়ি শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুরের ৯নং ওয়ার্ডের আলম চাঁন ব্যাপারী কান্দী গ্রামে। আমার বাবার নাম নজরুল ইসলাম। আর মায়ের নাম রেজিয়া বেগম।

Advertisement

অন্যদিকে মামলার যে প্রকৃত আসামি, তার নাম মো. মানিক মিয়া। তার বাবার নাম ইব্রাহিম মৃধা, মায়ের নাম লুতফা বেগম। গ্রাম মালতকান্দি, সখিপুরের ৬নং ওয়ার্ড।

মানিক হাওলাদারের পরিবারের অভিযোগ, চলতি বছরের ১৩ জানুয়ারি সাজাপ্রাপ্ত মো. মানিক মিয়ার স্থলে শুধু নামের মিল থাকার কারণে মানিক হাওলাদারকে শরীয়তপুর থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

এফএইচ/এমএইচআর/এমএস