দেশে গত এক সপ্তাহে করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) মৃতের সংখ্যা কমলেও বেড়েছে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। এই সময়ে বেড়েছে নমুনা পরীক্ষা ও সুস্থ রোগীর সংখ্যা।
Advertisement
শনিবার (৬ মার্চ) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।
২০২১ ইপিডেমিওলজিক্যাল অষ্টম সপ্তাহের (২১ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৭ ফেব্রুয়ারী) তুলনায় নবম সপ্তাহে (২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ৬ মার্চ) সময়ে এ পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয়। এ সময়ে করোনা রোগী শনাক্তের হার ৩৮ দশমিক ৬৯ শতাংশ, নমুনা পরীক্ষা ৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ এবং সুস্থ রোগীর হার ১২ দশমিক ৩৫ শতাংশ বেড়েছে। মৃত্যুহার কমেছে ১২ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ।
অষ্টম ইপিডেমিওলজিক্যাল সপ্তাহে ৯৬ হাজার ৯৭৯টি নমুনা পরীক্ষায় নতুন ২ হাজার ৮০৭ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়। একই সময়ে ৫হাজার ২১৫ জন রোগী সুস্থ ও ৫৮ জনের মৃত্যু হয়।
Advertisement
আর নবম ইপিডেমিওলজিক্যাল সপ্তাহে ১ লাখ ১ হাজার ৪৯৭টি নমুনা পরীক্ষায় তিন হাজার ৮৯৩ জন রোগী শনাক্ত হয়। একই সময়ে ৫ হাজার ৮৫৯ সুস্থ ও ৫১ জনের মৃত্যু হয়।
এদিকে, আগের তিনদিনের তুলনায় গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের। এর আগের দিন (৫ মার্চ) মৃত্যু হয়েছিল ছয় জনের, ৪ মার্চ সাত জনের এবং ৩ মার্চ মৃত্যু হয়েছিল পাঁচ জনের।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে সাত জন পুরুষ ও তিনজন নারী। তারা সবাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এ নিয়ে দেশে এই মহামারিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৮ হাজার ৪৫১ জনে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ২১৯টি ল্যাবরেটরিতে ১৩ হাজার ৮২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়াল ৪১ লাখ ৩১ হাজার ১১৩টি।
Advertisement
এ সময় নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে ৫৪০ জন। এ নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৫ লাখ ৪৯ হাজার ৭২৪ জনে।
এদিকে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৮২২ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৫ লাখ ১ হাজার ৯৬৬ জন।
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ১৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগীর মৃত্যু হয়।
এমইউ/এসএস