ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলায় এক বাক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে (১৫) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত আব্দুস সাত্তার (৬০) নামের এক বৃদ্ধকে আটক করেছে পুলিশ।
Advertisement
শনিবার (৬ মার্চ) বিকেল ৪টার দিকে ওই প্রতিবন্ধীর মা জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমরা গ্রামের যে জায়গাটিতে বসবাস করি, তা অনেকটা নীরব নিরিবিলি। আমার তিন মেয়ে ও এক ছেলে সন্তান রয়েছে। এরমধ্যে বড় মেয়েটিকে বিয়ে দিয়েছি ও দ্বিতীয় মেয়েটি বাক প্রতিবন্ধী। স্বামী মারা যাওয়ার পর বাকী দুই মেয়ে ও ছোট পাঁচ বছরের ছেলেকে নিয়ে মানুষের সহযোগিতায় কোনোভাবে বেঁচে আছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘শুক্রবার রাত ৮টার দিকে আমার প্রতিবন্ধী মেয়েটি প্রকৃতির ডাকে সারা দিতে ঘর থেকে বের হয়। এর অনেকক্ষণ পর তাকে খোঁজ করে পাচ্ছিলাম না। আমি ঘর থেকে বের হয়ে দেখি আমার মেয়েটি হেঁটে আসছে। কাছে আসার পর শরীরের কাদা লাগানো ছিল। সে মুখে কিছু না বলতে পেরে আমার হাত ধরে স্থানীয় বাজারে নিয়ে যায়। সেখানে একটি সেলুনে ঢুকে আব্দুস সাত্তারকে আমার মেয়ে দেখিয়ে দেয়। পরে বিষয়টি বুঝতে পেরে আমিসহ উপস্থিত অন্যান্যরা সাত্তারকে ধরার চেষ্টা করলে সে দৌড়ে পালিয়ে যায়।’
Advertisement
ভুক্তভোগীর কিশোরীর মা বলেন, ‘এই সাত্তার আমার বাড়ির পাশের জমিতে পানির সেচ দেয়া মেশিনে রাতে পানি দিচ্ছিল। এ সময় আমার প্রতিবন্ধী মেয়েকে ধর্ষণ করে। এই ঘটনায় আমি স্থানীয় মেম্বারকে জানালে, তিনি আপস করার চেষ্টা করেন। কিন্তু আমি থানায় গিয়ে বিষয়টি জানালে রাতেই আব্দুস সাত্তারকে আটক করে পুলিশ।’
সরাইল থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) কবির হোসেন জানান, বিষয়টি জানার পর পুলিশ রাতেই আব্দুস সাত্তারকে আটক করে। কিশোরীটিকে জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
এসজে/জিকেএস
Advertisement