আন্তর্জাতিক

‘করোনার উৎস’ এ মাসেই জানাবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

বৈশ্বিক মহামারি সৃষ্টি করা নভেল করোনাভাইরাসের উৎস কোথায়, তা এ মাসেই জানাবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। আরও সুর্নির্দিষ্টভাবে বললে, আগামী ১৫ মার্চের সপ্তাহটিতে জানা যাবে প্রাণঘাতী ভাইরাসটি কীভাবে কার মাধ্যমে ছড়িয়েছিল। খবর এএফপির।

Advertisement

ডব্লিউএইচও মহাপরিচালক তেদ্রোস আধানম গ্যাব্রিয়েসুস গত বৃহস্পতিবার সংস্থার সদস্য দেশগুলোর উদ্দেশে দেয়া এক বক্তব্যে বলেছেন, আমি জানি, অনেক সদস্য দেশই সার্স-কভ-২ ভাইরাসের উৎস নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা পরিচালিত গবেষণার প্রতিবেদন দেখতে উৎসুক… অবশ্যই আমিও তা-ই।

তিনি বলেন, দলটি চূঢ়ান্ত প্রতিবেদনের পাশাপাশি একটি সংক্ষিপ্ত প্রতিবেদন নিয়ে কাজ করছে। যা বুঝতে পারছি, সেগুলো ১৫ মার্চের সপ্তাহে একসঙ্গে প্রকাশ করা হবে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক বলেন, বাকিটা নিশ্চিত যে, প্রতিবেদনগুলো প্রস্তুত হওয়ার পর আমরা বিশেষজ্ঞ দলকে সেগুলো প্রকাশের আগে সদস্য দেশগুলোর সঙ্গে শেয়ার করতে এবং অনুসন্ধানের সংক্ষিপ্তসার জানাতে বলব।

Advertisement

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে প্রথমবারের মতো চীনে শনাক্ত হয়েছিল নভেল করোনাভাইরাস, পরে যার নাম দেওয়া হয় সার্স-কোভ-২ এবং এ থেকে সৃষ্ট রোগকে বলা হচ্ছে কোভিড-১৯। গত ১৫ মাসে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বের প্রায় প্রতিটি কোণে। ইতোমধ্যে এতে আক্রান্ত হয়েছেন ১১ কোটি ৬৬ লাখের বেশি মানুষ, মারা গেছেন প্রায় ২৬ লাখ।

প্রথমবার শনাক্ত হওয়ার প্রায় এক বছর পর গত জানুয়ারিতে চীনে করোনাভাইরাসের উৎসের সন্ধানে গিয়েছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক তদন্তকারী দল। তারা উহানে প্রায় চার সপ্তাহ কাটায় এবং প্রথমদিকের সংক্রমণগুলোর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখে।

বিশেষজ্ঞদের বিশ্বাস, নতুন করোনাভাইরাসটি বাদুড়ের শরীরে তৈরি হয়েছিল এবং সেটি স্তন্যপায়ী প্রাণীদের মাধ্যমে মানুষের মধ্যে ছড়িয়েছে।

যদিও উহান অভিযানে ভাইরাসটির সুনির্দিষ্ট উৎস শনাক্তে ব্যর্থ হয়েছে ‘ডব্লিউএইচও এক্সপার্ট টিম’, তবে সেটি চীনাদের কোনও ল্যাবরেটরি থেকে ছড়িয়েছিল- এমন ধারণা চীন ছাড়া আগেই বাতিল করে দেন তারা।

Advertisement

অবশ্য দলটি জেনেভায় পৌঁছানোর পর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বলেছিলেন, সব অনুমান এখনও উন্মুক্ত।

কেএএ/এমএস