বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে মৃত্যু ও শনাক্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এখন পর্যন্ত এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১১ কোটি ৬৬ লাখ ৬০ হাজার ১৮৬ জন। মারা গেছেন ২৫ লাখ ৯১ হাজার ৩০২ জন। এ মহামারি থেকে বিশ্বব্যাপী সুস্থ হয়েছেন ৯ কোটি ২২ লাখ ৭৪ হাজার ২৮ জন।
Advertisement
শনিবার (৬ মার্চ) বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টায় আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যানভিত্তিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫৬৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিশ্বে সর্বোচ্চ শনাক্তের সংখ্যাও এই দেশটিতে। এখন পর্যন্ত সেখানে ২ কোটি ৯৫ লাখ ৯৩ হাজার ৭০৪ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন। দেশটিতে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ২ কোটি ১ লাখ ৮৩ হাজার ৩২৯ জন।
করোনা শনাক্তের দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারত। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনা শনাক্তের সংখ্যা ১ কোটি ১১ লাখ ৯১ হাজার ৮৬৪ জন। এদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৫৭ হাজার ৬৯৩ জনের। মৃত্যু বিবেচনায় দেশটি বিশ্বে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে। ভারতে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১ কোটি ৮ লাখ ৫২ হাজার ১৭৪ জন।
Advertisement
করোনাভাইরাসে শনাক্তের দিক থেকে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ব্রাজিল। ল্যাটিন আমেরিকার এই দেশটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ১ কোটি ৮ লাখ ৭১ হাজার ৮৪৩ জন। তাদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ৬২ হাজার ৯৪৮ জনের। মৃত্যুর দিক থেকে দেশটি বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। এছাড়া সুস্থ হয়েছেন ৯৬ লাখ ৭১ হাজার ৪১০ জন।
করোনাভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় রাশিয়ার অবস্থান চতুর্থ। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪৩ লাখ ১ হাজার ১৫৯ জন। মারা গেছেন ৮৮ হাজার ২৮৫ জন। আর সুস্থ হয়েছেন ৩৮ লাখ ৮৫ হাজার ৩২১ জন।
আক্রান্ত বিবেচনায় পঞ্চম স্থানে থাকা যুক্তরাজ্যে এখন পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছেন ৪২ লাখ ৭ হাজার ৩০৪ জন। মারা গেছেন ১ লাখ ২৪ হাজার ২৬১ জন। সুস্থ হয়েছেন ৩১ লাখ ৪৪ হাজার ৫৬৭ জন সুস্থ হয়েছেন। তালিকায় ফ্রান্স ষষ্ঠ, স্পেন সপ্তম, ইতালি অষ্টম, তুরস্ক নবম ও জার্মানি দশম স্থানে রয়েছে। আর বাংলাদেশের অবস্থান ৩৩তম।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। দেশটিতে করোনায় প্রথম রোগীর মৃত্যু হয় ২০২০ সালের ৯ জানুয়ারি। ওই বছরের ১৩ জানুয়ারি চীনের বাইরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় থাইল্যান্ডে। পরে ধীরে ধীরে তা বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে।
Advertisement
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ৩০ জানুয়ারি বৈশ্বিক স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। গত ২ ফেব্রুয়ারি চীনের বাইরে করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ফিলিপাইনে। এরপর গত ১১ মার্চ করোনাকে বৈশ্বিক মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
ইএ/এমএস