দেশজুড়ে

মুজাহিদের দণ্ড কার্যকরে ফরিদপুরে আনন্দ মিছিল

মানবতাবিরোধী অপরাধে দায়ে জামায়াত ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের মৃত্যুদণ্ডাদেশ কার্যকরের পর পরই তার নিজ জেলা ফরিদপুরে আনন্দ মিছিল হয়েছে। দণ্ড কার্যকরের খবর পৌঁছানো মাত্রই শহরের বিভিন্ন সড়কে মানুষের ঢল নামে।বিভিন্ন পাড়া-মহল্লা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল এসে একত্রিত হয় মুজিব সড়কে। আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষ এ মিছিলে অংশ নিয়ে উল্লাস করেন।এ সময় প্রতিক্রিয়ায় মুজাহিদের মামলার ৫ নং সাক্ষী রণজিত কুমার বাবু নাথ বলেন, ৪৪ বছর ধরে এমন কিছুরই অপেক্ষায় ছিলাম। রায় কার্যকরের আগে নানা আতঙ্কে থাকলেও এখন থেকে সামনের দিনগুলো নিশ্চিত মনেই কাটাতে পারবেন বলে মনে করছেন তিনি।আল বদর বাহিনীর প্রধান ও বুদ্ধিজীবী হত্যার নায়ক মুজাহিদের রায় কার্যকর হওয়ায় সন্তোষ করেছেন ফরিদপুরের বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষ। বিচার শেষে রায় কার্যকর করায় সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তারা। তবে ফরিদপুরের মাটিতে কুখ্যাত এ যুদ্ধাপরাধীর দাফন না করার জন্যও দাবি তাদের।এদিকে ফরিদপুরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে মোতায়েন করা হয়েছে বিপুল সংখ্যক পুলিশ। ফরিদপুরের আশপাশের কয়েকটি জেলা থেকেও আনা হয়েছে পুলিশ সদস্যদের। পুলিশের পাশাপাশি মোতায়েন করা হয়েছে আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)।শহরজুড়ে র‌্যাব ও পুলিশ টহলও জোরদার করা হয়েছে। শহরের পশ্চিম খাবাসপুরে মুজাহিদের বাড়িতেও বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও এপিবিএন মোতায়েন করা হয়েছে। মুজাহিদের বাড়ির পাশের তার পিতার নামে করা মাওলানা আব্দুল আলী ফাউন্ডেশনের আইডিয়াল ক্যাডেট মাদ্রাসা চত্বরে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।জানাজা শেষে মাদ্রাসা গেটে ঢুকতে ডান পাশের অংশে তার (মুজাহিদ) দাফন সম্পন্ন হবে বলে জানান মুজাহিদের ভাগ্নে আ ন ম ফজলুল হাদি সাব্বির। রাত সোয়া ১টার দিকে সেখানেই কবর তৈরির কাজও শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে।এসএম তরুন/বিএ

Advertisement