রাষ্ট্র-সমাজকে পথ দেখাতে চাওয়া সৃষ্টিশীল মানুষদের মুখের ভাষা কেড়ে নেয়াই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের আসল চরিত্র বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. তানজিম উদ্দিন খান।
Advertisement
তিনি বলেছেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের চরিত্রটা কী? চরিত্রটা হচ্ছে- এই আইন দিয়ে শাসকরা মানুষের মুখের ভাষা কেড়ে নিতে চায়। কিন্তু সবার মুখের ভাষা নয়। যাদের মুখের ভাষা তীর্যক, যারা এই রাষ্ট্র-সমাজকে পথ দেখাতে চান, যারা সৃষ্টিশীল মানুষ; তাদের মুখের ভাষা কেড়ে নিতে চায়।’
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলসহ কারা হেফাজতে লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর বিচার, ছাত্র-শ্রমিক, রাজবন্দিদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে আয়োজিত এক সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনসমূহের ব্যানারে শুক্রবার (৫ মার্চ) বিকালে রাজধানীর শাহবাগ চত্ত্বরে জাতীয় জাদুঘরের সামনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
মুশতাকের মৃত্যুর তদন্ত প্রতিবেদন সম্পর্কে অধ্যাপক তানজিম উদ্দিন খান বলেন, ‘তার (মুশতাকের) মৃত্যুর পর আমাদের প্রধানমন্ত্রী বললেন- এটা স্বাভাবিক মৃত্যু। তদন্তের রিপোর্ট প্রকাশের আগে সরকারের উচ্চমহল থেকে যখন এ ধরনের বক্তব্য আসে, সে ক্ষেত্রে তদন্ত রিপোর্ট এমনিতেই বাতিল হয়ে যায়। সেই তদন্ত রিপোর্ট নিয়ে নতুন করে ভাবনা তৈরি হওয়ার কোনো সুযোগ থাকে না’
Advertisement
ফ্যাসিস্ট গোষ্ঠী ধারাবাহিকভাবে দেশের ক্ষমতায় আসছে বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘এটাই (বর্তমান সরকার) কিন্তু একমাত্র ফ্যাসিস্ট শাসন ব্যবস্থা নয়। এর আগে যারা ছিল তারা এই ফ্যাসিস্ট শাসন ব্যবস্থার বীজ বপন করে গেছে। তারাই র্যাব তৈরি করেছে। বিভিন্ন ধরনের আইন তৈরি করেছে, সেই ধারাবাহিকতায় আজকের এই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন।’
মশাল মিছিলে আটককৃত সাত শিক্ষার্থীর আইনজীবী আইনুন নাহার সিদ্দিকা লিপি বলেন, ‘সাত শিক্ষার্থীর মামলার এজাহারে এভাবে লেখা হয়েছে, “কতিপয় দুষ্কৃতিকারী হত্যার উদ্দেশ্যে পুলিশের হেলমেট ভেঙেছে, পুলিশের বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পুড়িয়ে দিয়েছে।” তাদের এমন জ্যাকেট, হেলমেট যে আগুন দেয়ার আগেই পুড়ে যায়। তাহলে গুলি করলে কি হবে।’
আল-সাদী ভূঁইয়া/এএএইচ/জেআইএম
Advertisement