দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমিত রোগী শনাক্তের সংখ্যা বাড়ছেই। এক সপ্তাহ আগেও নমুনা পরীক্ষায় দুই শতাংশ রোগী শনাক্ত হলেও শুক্রবার (৫ মার্চ) এই হার দ্বিগুণেরও বেশি। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৬৩৫ জন।
Advertisement
একই সময়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে রাজধানীসহ সারাদেশে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে চারজন পুরুষ ও দুইজন নারী। তারা সকলেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এনিয়ে দেশে এই মহামারিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৮ হাজার ৪৪১ জন।
শুক্রবার (৫ মার্চ) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের ২১৯টি ল্যাবরেটরিতে ১৩ হাজার ৮৭৯টি নমুনা সংগ্রহ ও ১৩ হাজার ৭১০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়াল ৪১ লাখ ১৯ হাজার ৩১টি। এ সময়ে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৬৩৫ জন। ফলে দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৪৯ হাজার ১৮৪ জন।
Advertisement
এদিকে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৬৭৬ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন পাঁচ লাখ এক হাজার ১৪৪ জন।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার হার ৪ দশমিক ৬৩ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯১ দশমিক শূন্য ২৫ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৪ শতাংশ।
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত ও ১৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগীর মৃত্যু হয়। এ পর্যন্ত মোট মৃত্যু ৮ হাজার ৪৪১ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ৬ হাজার ৩৮১ জন (৭৫ দশমিক ৬০ শতাংশ) ও নারী দুই হাজার ৬০ জন (২৪ দশমিক শূন্য ৪০ শতাংশ)।
মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে বিশোর্ধ্ব একজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব একজন এবং ষাটোর্ধ্ব চারজন। বিভাগওয়ারী হিসেবে মৃত ছয়জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে তিনজন, চট্টগ্রাম দুইজন এবং খুলনা বিভাগে একজন মারা যান।
Advertisement
এমইউ/এএএইচ/এএসএম