জাতীয়

টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়ে বিদেশ গেলেও কি বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইন?

ষাটোর্ধ্ব প্রবাসী সিরাজুল ইসলাম তিন মাস আগে ইতালি থেকে দেশে ফেরেন। সে সময় করোনামুক্ত সনদ নিয়ে ফিরলেও তাকে বাধ্যতামূলকভাবে পাঠানো হয় ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে। কোয়ারেন্টাইন পূর্ণ করার পরই তিনি বাসায় ফেরার অনুমতি পান।

Advertisement

সিরাজুল ইসলাম জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে করোনা টিকার প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন। মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে তার দ্বিতীয় ডোজ পাওয়ার কথা রয়েছে। এরপর আবার কর্মস্থলে ফিরে যাবেন তিনি। কিন্তু টিকার ডোজ সম্পন্ন করে গেলেও তাকে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে কি না, তা নিয়ে তিনি রয়েছেন ধোঁয়াশাই। সংশ্লিষ্ট কেউই তাকে এ বিষয়ে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।

সিরাজুল ইসলাম বলছিলেন, টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেয়ার দুই সপ্তাহ পর ফিরে গেলে তাকে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে কি না বা করোনা নেগেটিভ সনদ নিতে হবে কি না সে বিষয়ে গত কয়েকদিন ধরে স্বাস্থ্য অধিদফতর সংশ্লিষ্টদের কাছে জানতে চেয়ে কোনো সদুত্তর পাননি।

এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘বর্তমানে যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে যারা করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণের ১৪ দিন পর বাংলাদেশে ফিরছেন, তাদের আর কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হচ্ছে না। এমনকি টিকার সনদ দেখালে তাদের করোনা নেগেটিভ সনদও প্রয়োজন হচ্ছে না। বর্তমানে বিদেশ থেকে টিকা নিয়ে ফেরাদের বিষয়ে নির্দেশনা থাকলেও যারা বিদেশ যাবেন সে বিষয়ে কোনো সরকারি নির্দেশনা নেই।’

Advertisement

ফলে সিরাজুল ইসলামের মতো অনেকেই সংশয়ে আছেন। তাদের ভ্রমণ পরিকল্পনা নিয়েও তারা আছেন ধোঁয়াশার মাঝে।

স্বাস্থ্য অধিদফতর সুত্রে জানা গেছে, প্রতিদিনই দেশের ১৫টি সিভিল সার্জন কার্যালয়ে বিদেশ গমনেচ্ছু যাত্রীদের নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। করোনার শুরু থেকে ৪ মার্চ পর্যন্ত এমন ছয় লাখ ৩৯ হাজার ৩৮৭ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।

বিদেশগামী এসব যাত্রী টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেয়ার ১৫ দিন পর বিদেশ গেলে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে কি না, এ সম্পর্কিত কোনো তথ্য কারো কাছে নেই।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শাহরিয়ার সাজ্জাদ বলেন, ‘দেশের যাত্রীরা এ মুহূর্তে করোনার প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিয়ে বিদেশ গেলে তাদের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে কি না, সে সম্পর্কে সরকারি নির্দেশনা জানা নেই।’

Advertisement

তিনি আরও বলেন, ‘তবে এখন যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশ থেকে যারা দেশে আসছেন তাদের মধ্যে যদি কেউ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা স্বীকৃত করোনা টিকার দুই ডোজ নিয়ে আসেন, তাহলে তাদের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে না। তাদের করোনা নেগেটিভ সনদও দেখাতে হবে না।’

এমইউ/এমএইচআর/এমএস