ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডুতে আবারো আগুনে পুড়ে ভস্মিভূত হয়েছে প্রায় ১৫ থেকে ২০ বিঘা জমির পানের বরজ। বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার মকিমপুর গ্রামের মাঠের বরজে আগুন লাগে।
Advertisement
খবর পেয়ে ঝিনাইদহ ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট দেড়ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে অন্তত ৩০ লাখের অধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানিয়েছেন কৃষকরা।
এর আগে ২৮ ফেব্রুয়ারি একই উপজেলার মান্দারবাড়িয়া ও শিতলী গ্রামে প্রায় ১০০ বিঘা জমির পান বরজ আগুনে পুড়ে ভস্মিভূত হয়।
ঝিনাইদহ ফায়ার সার্ভিসের সাব-স্টেশন অফিসার প্রদ্বীপ কুমার মন্ডল জানান, আগুনের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় দেড়ঘণ্টা চেষ্টার পর বিকেল ৫টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তার আগেই ওই গ্রামের কৃষক রশিদুল ইসলাম, নজরুল লস্কারসহ প্রায় ১৫ কৃষকের প্রায় ১৫ থেকে ২০ বিঘা জমির পান পুড়ে ভষ্মিভূত হয়ে যায়।
Advertisement
ধারণা করা হচ্ছে, বিড়ি-সিগারেটের আগুন থেকে এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। তবে কোন কৃষকের কত বিঘা জমির বরজ পুড়েছে তা প্রাথমিকভাবে জানাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস।
পান বরজে কাজ করা কৃষক সেলিম হোসেন বলেন, ‘আমরা বরজে পান তুলছিলাম। এমন সময় আগে ভস্মিভূত হওয়ার পট পট শব্দে ছুটে যাই। সেখানে গিয়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টার করি। কিন্তু আগুনের লেলিহান এত বেশি ছিল যে আমরা কাছে যেত পারছিলাম না। পরে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এসে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। কিন্তু তার আগেই পানের বরজ পুড়ে যায়।’
ঘটনাস্থলে রোকসানা নামের এক গৃহিণী বলছিলেন, ‘আমার সব শেষ হয়ে গেছে। পানই আমার একমাত্র ভরসা। আগুনে আমার পান পুড়ে শেষ হয়ে গেছে। এখন আমি কী করে খাব।’
আব্দুল্লাহ আল মাসুদ/এসআর/এমএস
Advertisement