আন্তর্জাতিক

সাপ্তাহিক টিকাদানের হারে চীন-ভারতের চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ

জনসংখ্যার প্রতি ১০০ জনের মধ্যে সাপ্তাহিক টিকাদানের হারে চীন-ভারতের চেয়েও এগিয়ে বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যান বিষয়ক ওয়েবসাইট ‘আওয়ার ওয়ার্ল্ড ইন ডেটা’র এক পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

Advertisement

গত ২ মার্চ পর্যন্ত হালনাগাদ হিসাব অনুসারে, চীন তাদের জনসংখ্যার প্রতি ১০০ জনের মধ্যে করোনাভাইরাসের টিকা দিয়েছে ০.০৪ জনকে। রাশিয়া এবং ভারতেও এর হার একই।

সেদিক থেকে বাংলাদেশ টিকা দিয়েছে প্রতি ১০০ জনের মধ্যে ০.০৭ জনকে।

করোনারোধী টিকাদানের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের চেয়ে পিছিয়ে রয়েছে নেপাল (০.০৫) এবং মালয়েশিয়াও (০.০১)। আর পাকিস্তানে টিকাদানের হার প্রতি ১০০ জনে ০.০১ জনেরও কম। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে টিকাদানের হারে বাংলাদেশের চেয়ে ওপরে রয়েছে মালদ্বীপ ও শ্রীলঙ্কা। মালদ্বীপে এর হার ১.০২, যা গোটা বিশ্বের মধ্যেই অন্যতম সর্বোচ্চ।

Advertisement

লঙ্কানরা প্রতি ১০০ জনের মধ্যে টিকা দিতে পেরেছে ০.১২ জনকে। সিঙ্গাপুর টিকা দিয়েছে ০.২৬ জনকে।

টিকাদানের হারে তালিকার ওপরের দিকে থাকা দেশগুলো মধ্যে রয়েছে ইসরায়েল ১.০২, সংযুক্ত আরব আমিরাত ০.৬২, যুক্তরাজ্য, ০.৫৮, যুক্তরাষ্ট্র ০.৫৮, তুরস্ক ০.৩, স্পেন ০.২৩, জার্মানি ০.২, ইতালি ০.২, কানাডা ০.১৬, ব্রাজিল ০.১ ইত্যাদি।

করোনা মহামারি মোকাবিলায় ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি ভ্যাকসিনের তিন কোটি ডোজ কিনেছে বাংলাদেশ। ইতোমধ্যেই এর কিছু অংশ দেশে পৌঁছেছে। উপহার হিসেবে বাংলাদেশকে আরও ২০ লাখ ডোজ দিয়েছে ভারত সরকার। এছাড়া, জাতিসংঘের কোভ্যাক্স কর্মসূচির আওতায় আগামী জুনের আগেই আরও ১ কোটি ৯ লাখ ৮ হাজার ডোজ পাওয়ার কথা রয়েছে বাংলাদেশের।

গত ২৭ জানুয়ারি দেশে প্রথম পরীক্ষামূলক টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। ওইদিন প্রথম টিকা নেন রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনু ভেরোনিকা কস্তা। প্রথম দফায় কয়েকশ’ মানুষকে পরীক্ষামূলক টিকা দেওয়া হয়।

Advertisement

এরপর গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে সারাদেশে ‘গণটিকাদান’ কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে সরকার।

কেএএ/এমএস