জাতীয়

বড়দের মারামারিতে আহত শিশু সঙ্কটাপন্ন

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (চমেক) নিউরো সার্জারি বিভাগের একটি সিটে দুই মাস বয়সী শিশু উম্মে হাবিবার মাথার পাশে বসে মা লালু ঝর্ণা অঝোর ধারায় কাঁদছেন। মাঝে মাঝে শিশুটির গায়ে হাত বুলিয়ে দোয়া পড়ছেন। গত বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) দুপুর পর্যন্ত শিশুটির হুঁশ নেই।

Advertisement

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার কোনাখালী ইউনিয়নের পুরিত্যাখালী এলাকায় বড়দের মারামারিতে ইটের আঘাতে শিশুটি আহত হয়। তার মাথা ফেটে গেছে।

শিশুটির মা লালু ঝর্ণা জানান, পুরিত্যাখালী এলাকায় শাহনা বেগম নামের এক নারী বসতঘর নির্মাণ করতে গেলে কোনাখালী এলাকার একদল সন্ত্রাসী চাঁদা দাবি করে। এ ঘটনায় বুধবার সন্ধ্যায় এলাকার লোকজন চাঁদাবাজদের প্রতিহত করে। রাত ১১টার দিকে ওই সন্ত্রাসীরা স্থানীয় কোনখালী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান দিদারের নেতৃত্বে শতাধিক লোক নিয়ে এলাকার বেশকিছু বাড়ি-ঘরে হামলা করে। এসময় তার দুই মাস বয়সের শিশু উম্মে হাবিবার মাথায় পাথরের আঘাত লাগে। এতে শিশুটি জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। রাত সাড়ে ১১টার দিকে শিশুটিকে চকরিয়া সরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।

এ ঘটনায় আহত শিশুটির বাবা মোহাম্মদ রুবেল জানান, তারা ঘরে ঘুমাচ্ছিলেন। হঠাৎ করে বৃষ্টির মতো ইট আসতে থাকে তার ঘরের দিকে। এতে শিশুটি মারাত্মকভাবে আহত হয়। এরপর থেকেই চোখ খুলছে না সে। কোনো শব্দ নেই তার।

Advertisement

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. হামিদ হাসান জানান, শিশুটির মাথায় আঘাত লেগেছে। তার অবস্থা সংকটাপন্ন। ২৪ ঘণ্টা না গেলে কিছুই বলা যাচ্ছে না।

ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি লায়েক উদ্দিন বলেন, ‘বাংলাবাজার এলাকার ডাকাত এরশাদ, জিয়াউর রহমান, মোহাম্মদ হোসেন, মো. ইলিয়াছ, মোহাম্মদ রশিদ, ডাকাত শহীদ, মোশারফ, বাবলু, আমজাদ, নয়ন, বাদল, রাজিব ও ছাদেক নামের সন্ত্রাসীরা কোনাখালী থেকে এসে পুরিত্যাখালীতে হামলা চালায়। এসময় দিদার চেয়ারম্যান হামলায় নেতৃত্ব দেন।’

আহত শিশু উম্মে হাবিবার বাবা জানান, চকরিয়া থানায় এ বিষয়ে একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

আবু আজাদ/জেডএইচ/জিকেএস

Advertisement