রাজনৈতিক জীবনে অশ্লীল, আপত্তিকর ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য মুখাবয়বে তাচ্ছিল্য ও তীর্যক হাসি ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের জন্য পরিচিতি লাভ করেন সাকা চৌধুরী। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থানে দাম্ভিকতার পরিচয় দিয়েছেন তিনি। এমন কী আদালতেও তিনি দাম্ভিকতা দেখিয়েছেন। পাঠকের উদ্দেশ্যে তার কিছু কাহিনী তুলে ধরা হলো।তারেকের কর্মকাণ্ডে খালেদার নীরব সমর্থনের পরিপ্রেক্ষিতে সাকা বলেছিলেন, ‘আগে কুকুর লেজ নাড়াত, এখন লেজ কুকুরকে নাড়ায়।’আবার বিএনপি চেয়ারপারসনকে নিয়ে ‘তালাকপ্রাপ্ত বউয়ের ঘর করি না আমি’-মন্তব্য করেও দলে তোপের মুখে পড়েন সাকা চৌধুরী।তার অশালীন ও আপত্তিকর মন্তব্যের শিকার হয়েছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাও।২১ অগাস্ট শেখ হাসিনার ওপর গ্রেনেড হামলায় নিজের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ নাকচ করে তিনি বলেন, ‘আমি গ্রেনেড মারলে সেটাতো মিস হত না।’প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিবারের সঙ্গে নিজের ঘনিষ্ট যোগাযোগের কথা দাবি করে এই বিএনপি নেতা বলেছিলেন, ‘ছাত্রজীবনে শেখ মুজিব আমার বাবার শিষ্য ছিলেন।’ আওয়ামী লীগের একটি মহল প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তাকে উস্কে দিচ্ছে অভিযোগ করে সালাউদ্দিন কাদের বলেন, ‘ওই মহলটি জানে না যে তারা যে বিলের মাছ, আমি সালাউদ্দিন ওই বিলের বক।”গত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার আমলে ওআইসি-এর মহাসচিব পদে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে প্রার্থী করা হয়। এর সমালোচনা করেন আওয়ামী লীগ নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত।জবাবে সাকা বলেন, ‘বাবু ওআইসি নিয়ে কথা বলার কে? উনাকে ওআইসি নিয়ে কথা বলতে হলে, আমি ছোট বেলায় যে জিনিসটা কেটে ফেলে দিয়েছি, আগে ওই জিনিসটা কেটে ফেলতে হবে। তারপর বাবুকে ওআইসি নিয়ে কথা বলতে বলেন।’নারী নির্যাতন বিষয়ে তৎকালীন আইন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামের একটি বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় সাকা চৌধুরী বলেছিলেন, ‘তিনি কেরানীগঞ্জের একজন প্রমোদ বালক- এটা কি আমি কখনও বলেছি?’নবম সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় শিক্ষাগত যোগ্যতা ‘নেই’ উল্লেখ করেন সাকা চৌধুরী। অসত্য তথ্য দেয়ায় নির্বাচনী আইন অনুযায়ী তার সংসদ সদস্য পদ খারিজের উদ্যোগ নেয় বিগত নির্বাচন কমিশন। ওই সময় নির্বাচন কমিশনকে ‘গমচোর’ বলে আখ্যা দেন তিনি।এমএএস/আরআইপি
Advertisement