আইন-আদালত

শব্দদূষণ বন্ধে কী পদক্ষেপ, ৭ দিনের মধ্যে জানতে চান হাইকোর্ট

আগের আদেশ অনুসারে শব্দদূষণ রোধে গাড়িতে হাইড্রোলিক হর্ন ব্যবহার বন্ধ এবং ঢাকা সার্ভিলেন্স টিম গঠন করে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ ছাড়াও শব্দদূষণ বন্ধে হাইকোর্টের দেয়া আগের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে কী কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে সে বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের আগামী সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেয়ার জন্যে বলেছেন আদালত।

Advertisement

এছাড়া আদালতের নির্দেশনা মেনে সুনির্দিষ্টভাবে কী কী বিষয়ে আদেশ প্রতিপালন করা হয়েছে সেটি বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) এবং ঢাকার ট্রাফিকের যুগ্ম কমিশনারকে এফিডেভিট আকারে আগামী ছয় সপ্তাহের মধ্যে দেয়ার জন্য বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে শুনানি নিয়ে সোমবার (১ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদেশের বিষয়টি বুধবার (৩ মার্চ) নিশ্চিত করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।

আদালতে ওই দিন আবেদনের পক্ষে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ শুনানি করেন। বিআরটিএর পক্ষে আইনজীবী মো. রাফিউল ইসলাম এবং রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান শুনানিতে ছিলেন।

Advertisement

এর আগে শব্দদূষণ রোধে হাইড্রোলিক হর্ন বন্ধ ও টিম গঠন করে রাজধানীর কয়েকটি এলাকার সড়কে রাতে তদারকিতে আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়নে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, তা জানতে চেয়েছিলেন হাইকোর্ট।

সংশ্লিষ্ট সড়কগুলো হচ্ছে- রাজধানীর কাকরাইল-ভিআইপি সড়ক হয়ে মগবাজার, মৎস্য ভবন-শাহবাগ-সায়েন্স ল্যাবরেটরি-সংসদ ভবন হয়ে গাবতলী পর্যন্ত। এ বিষয়ে ঢাকার ট্রাফিকের যুগ্ম কমিশনার, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট ছয় বিবাদীকে দুই সপ্তাহের মধ্যে আদালতে হলফনামা আকারে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। পরবর্তী আদেশের জন্য গত ৮ ফেব্রুয়ারি দিন রাখা হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় এ বিষয়টি শুনানির জন্যে আসে।

তারও আগে গাড়িতে হাইড্রোলিক হর্নের মতো উচ্চ শব্দযুক্ত হর্ন ব্যবহার বন্ধে নির্দেশনা চেয়ে ২০১৭ সালের আগস্টে রিট করে মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি)। এর প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ওই বছরের ২৩ আগস্ট হাইকোর্ট রুল জারিসহ কয়েক দফা নির্দেশনা দেন।

নির্দেশনায় ঢাকায় গাড়িতে হাইড্রোলিক হর্ন ও উচ্চ শব্দযুক্ত হর্ন ব্যবহার বন্ধে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে; এই হর্ন আমদানি বন্ধে পদক্ষেপ নিতে; বাজারে থাকা সব হাইড্রোলিক হর্ন জব্দ করার বিষয়ে বলা হয়। এর ধারাবাহিকতায় ২০১৭ সালের ৮ অক্টোবর অপর এক আদেশে হাইড্রোলিক হর্ন ব্যবহারকারী যান জব্দ ও হর্নগুলো জমা দিতে সময় বেঁধে দেয়া হয়। এরপর এক সম্পূরক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৭ সালের ১৪ ডিসেম্বর হাইকোর্ট উচ্চ শব্দের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে ওই সব সড়কে সার্ভিল্যান্স টিম গঠন করে তদারকির নির্দেশ দেন।

Advertisement

আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশনার পর শব্দ দূষণ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে পরবর্তী সময়ে শব্দ দূষণ আগের মতো বেড়ে যায়। এ বিষয়ে নির্দেশনা বাস্তবায়নের কার্যকর পদক্ষেপ নিতে আরজি জানানো হয়। শুনানি শেষে ওই আদেশ দেয়া হয়।

এফএইচ/এসএস/এএসএম