গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং এর অধীন বিভিন্ন দফতর-সংস্থার বাস্তবায়নাধীন বিভিন্ন প্রকল্পের কাজে মন্থর গতির কথা উল্লেখ করে সম্প্রতি দেশের কয়েকটি দৈনিক পত্রিকা ও অনলাইন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এসব প্রতিবেদনে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছে মন্ত্রণালয়। তাদের দাবি, প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন অগ্রগতি যথেষ্ট সন্তোষজনক।
Advertisement
বুধবার (৩ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টির ব্যাখ্যা দিয়েছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রতিষ্ঠার পর থেকে সরকারি অবকাঠামো ও আবাসন ব্যবস্থার উন্নয়ন, রক্ষণাবেক্ষণ ও ভৌত অবকাঠামো নির্মাণের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজ অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে করে আসছে এ মন্ত্রণালয়। কোভিড-১৯ মহামারির কারণে চলমান অচলাবস্থার মধ্যেও এ মন্ত্রণালয় ও এর অধীন বিভিন্ন দফতর-সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অত্যন্ত দক্ষতা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।
করোনা মহামারির কারণে তাদের চলমান কাজ ‘কিছুটা বাধাগ্রস্ত’ হয় উল্লেখ করে এতে বলা হয়, ‘"২০২০ সালের মার্চ মাসে করোনা মহামারীর কারণে সরকার সারাদেশে লকডাউন ঘোষণা করলে দেশের সব কার্যক্রম কিছুটা বাধাগ্রস্ত হয়। ফলে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং এর অধীন বিভিন্ন দফতর বা সংস্থার বাস্তবায়নাধীন বিভিন্ন প্রকল্পের কাজও কিছুটা বিঘ্নিত হয়। তাছাড়া মামলাজনিত কারণ, ভূমি অধিগ্রহণে বিলম্ব, সাইট পরিবর্তন, প্রকল্প স্থানে বিদ্যমান অবকাঠামো অপসারণজনিত কারণ ও স্থাপত্য নকশা পরিবর্তন-পরিমার্জন সংক্রান্ত কারণেও প্রকল্প বাস্তবায়নে বাড়তি সময়ের প্রয়োজন হয়। ফলে আপাতদৃষ্টিতে প্রকল্প বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রিতা মনে হলেও তা প্রকৃত চিত্র নয়। প্রকৃতপক্ষে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন অগ্রগতি যথেষ্ট সন্তোষজনক।’
Advertisement
গত বছর সরকার ঘোষিত লকডাউনের মধ্যেও তাদের বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ চালু রাখা হয়েছে জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘জরুরি কাজের স্বার্থে লকডাউনকালীন সময়েও সীমিত পরিসরে অফিস চালু রাখা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর যোগ্য ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারণে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সফলতার মতো এ মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমও যথেষ্ট সন্তোষজনক। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আওতায় বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পগুলোর ডিসেম্বর-২০২০ পর্যন্ত জাতীয় অগ্রগতি যেখানে ২৩.৮৯ শতাংশ সেখানে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের এই অগ্রগতি ২৮.০৮ শতাংশ। সুতরাং মন্ত্রণালয়ের ও এর অধীন বিভিন্ন দফতর-সংস্থার কাজে মন্থর গতির কোনো প্রশ্নই ওঠে না।’
এ বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশে ভবিষ্যতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আরও দায়িত্বশীলতার পাশাপাশি জনগণের কাছে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ ও সঠিক তথ্য তুলে ধরার আহ্বান জানিয়েছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়।
আইএইচআর/এসএস/এমএস
Advertisement