খেলাধুলা

২৪ ঘণ্টা পরই জামিনে মুক্তি পেলেন সাবেক বার্সা সভাপতি

বার্সাগেট কেলেঙ্কারির নতুন মোড় নিল। আর্থিক অনিয়ম এবং দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই শর্তসাপেক্ষে জামিন মিলেছে বার্সেলোনার সাবেক সভাপতি হোসে মারিয়া বার্তোমিউর।

Advertisement

তার বিরুদ্ধে প্রধান অভিযোগ, বার্সা প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন বার্তোমিউ নাকি ‘আই থ্রি’ ভেঞ্চার্স নামক ডিজিটাল মার্কেটিং কোম্পানিকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, কয়েকটি ভুয়া সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট তৈরি করে মেসি, জাভি, পিকে, গার্দিওলা, কার্লোস পুয়োলের মতো তারকাদের সম্বন্ধে বাজে আর্টিকেল পোস্ট করার জন্য।

মেসি-জাভিরা বারবার জনসমক্ষে বার্তোমিউকে কটাক্ষ করার কারণেই তাদের ওপর এমন ক্ষিপ্ত হয়েছিলেন বার্তোমিউ। এমনিতে চুক্তি অনুযায়ী আই থ্রি ভেঞ্চার্সের প্রধান দায়িত্ব ছিল বার্সার ইন্সটাগ্রাম ও টুইটার অ্যাকাউন্ট ম্যানেজ করা; কিন্তু মেসিদের বিরুদ্ধে যড়যন্ত্র করার জন্য বার্তোমিউ গোপনেও চুক্তির করেছিলেন দ্বিগুণ টাকা দিয়ে।

সব বিতর্কের সূত্রপাত গত বছর জুলাইয়ে। স্পেনের বিভিন্ন দৈনিকে খবর বেরোয়, আই থ্রি ভেঞ্চার্সের সঙ্গে বার্সার করা চুক্তির মাধ্যমে আর্থিক অনিয়ম করেছেন বার্তোমিউ। তবে এক বিখ্যাত কোম্পানির মাধ্যমে নিজেদের ক্লাব অ্যাকাউন্ট অডিট করায় বার্সা।

Advertisement

এরপর দেখা যায় বার্তোমিউ কোনো আর্থিক অনিয়ম করেননি। তবে সেই অডিট নিয়ে সন্তুষ্ট হতে পারেনি বার্সেলোনা পুলিশ। ফলে তারা তদন্ত অব্যাহত রাখে।

অবশেষে সোমবার সেই বিতর্কে আসে নতুন টুইস্ট। হঠাৎই বার্সার ঘরের মাঠ ন্যু ক্যাম্পে হানা দেয় কাতালান পুলিশ বাহিনী। ন্যু কাম্পে অবস্থিত বার্সার সব অফিসে তল্লাশি চালানো হয়। ক্লাবের গুরুত্বপূর্ণ নথি খতিয়ে দেখে পুলিশ।

বিকেলে আবার কাতালান পুলিশের এক মুখপাত্র জানিয়ে দেন, গ্রেপ্তার করা হয়েছে বার্তোমিউকে। বার্তোমিউ ছাড়াও অভিযুক্তদের তালিকায় ছিলেন আরও তিনজন- বার্সার সিইও অস্কার গ্রাউ, বার্সার হেড অফ লিগ্যাল সার্ভিসেস রোমান গোমেজ পন্টি ও বার্তোমিউর পরামর্শদাতা জৌমে ম্যাসফেরার। এই তিনজনকেও গ্রেপ্তার করে কাতালান পুলিশ।

মঙ্গলবার বার্সেলোনার বিশেষ আদালতে বার্তোমিউসহ বাকি তিনজনকে নিয়ে আসা হয়। তবে বিচারপতির সামনে অভিযুক্ত চারজনই স্প্যানিশ সংবিধানে থাকা ‘রাইট নট টু স্পিক’ অপশানের সাহায্য নেন। অর্থাৎ বিতর্ক নিয়ে কেউ কিছু বলেননি। এরপর চারজনই শর্তসাপেক্ষ জামিন পেলেন।

Advertisement

কিন্তু বার্তোমিউ জামিন পেলেও বিচারপতি পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, ‘বার্সাগেট’ কেলেঙ্কারির তদন্ত চলতে থাকবে। বার্তোমিউকে আবারও কোর্টে হাজিরা দিতে আসতে হবে। আবার এই মুহূর্তে বার্সেলোনা শহর ছেড়ে কোথাও যেতে পারবেন না তিনি।

এসব বিতর্কের মধ্যেই বার্সার সাবেক এই প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন মেসি। এসব কেলেঙ্কারি নিয়ে বার্সার কিংবদন্তি এই ফুটবলার বলেন, ‘আমি সত্যি অবাক। খুবই অদ্ভুত একটা ঘটনা। জানি না এটা নিয়ে কী বলব। তবে আমার প্রিয় ক্লাব বার্সেলোনা এত খারাপ বিতর্কে জড়িয়েছে দেখে আমি দুঃখিত।’

আইএইচএস/জেআইএম