রাজনীতি

বিএনপির নেতৃত্ব আসে ইংল্যান্ড থেকে : কাদের সিদ্দিকী

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সমালোচনা করে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, ‘আমরা জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট করেছিলাম। আমার কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ সেখানে অংশগ্রহণ করেছিল। ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে আমি অংশগ্রহণ করি। কিন্তু গিয়ে দেখলাম, ড. কামাল হোসেন নেতৃত্ব করেন না। নেতৃত্ব করে বিএনপি এবং বিএনপির নেতৃত্ব আসে ইংল্যান্ড থেকে।’

Advertisement

ঐতিহাসিক পতাকা উত্তোলন দিবসের ৫০ বছর উপলক্ষে মঙ্গলবার (২ মার্চ) সন্ধ্যায় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির শহীদ শফিউর রহমান মিলনায়তনে এই সভা হয়।

কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘আমি ইংল্যান্ডের নেতৃত্ব মানতে রাজি না। জাতীয় ঐক্য জাতিকে নিয়ে করতে হবে। রাজনীতি করতে হলে মাঠে আসতে হবে। বিএনপিকে গণতান্ত্রিক হতে হবে। মানুষকে মর্যাদা দেয়া শিখতে হবে, তারপরে রাজনীতি করতে হবে।’

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের এই নেতা বলেন, ‘ক্ষমতা এত সোজা কথা না। আমি যদি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনাকে স্বীকার না করি, তাহলে শুনুন আমি আপনাদের সবার সামনে বলছি, তারেক রহমানের পরিবর্তন না হলে তাকেও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মেনে নেয়ার মানুষ আমি না। তাকে উপযুক্ত হতে হবে।’

Advertisement

তিনি বলেন, ‘একটা কথা বলে যাই, শেখ হাসিনা বহুবার বলেছেন, বিএনপি দুর্নীতিবাজ। এটাকে প্রমাণ করার জন্য তিনি বার বার বলেছেন, জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর খালেদা জিয়া দেখেছেন ভাঙ্গা সুটকেস আর ছেড়া গেঞ্জি। এটাই যদি সত্য হয় তাহলে জিয়াউর রহমান ছিলেন একজন সৎ মানুষ। তিনি ছেড়া গেঞ্জি আর ভাঙা সুটকেস রেখে গেছেন। আর তার সন্তান যদি হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক হয় তাহলে তিনি নেতা নন। দেশের মানুষের আস্থাভাজন হতে পারে না। যিনি দেশের নেতা হবেন তার সম্পদের পাহাড় হবে না। সম্পদ আর নেতৃত্ব এক সাথে চলে না। এটা রাত দিনের মতো পার্থক্য।’

কাদের সিদ্দিকী আরও বলেন, ‘আজকে দেশ আর দেশ নেই। যদি থাকতো তাহলে আ স ম আব্দুর রবের এই পতাকা উত্তোলন দিবস তাকে পালন করতে হতো না। সরকার পালন করতো, সারা বাঙালি জাতি পালন করতো।’

সভায় আ স ম আব্দুর রব বলেন, ‘আমার মনে হচ্ছে মা’ কালীর মতো বর্তমান সরকার রক্তপাত ছাড়া যাবে না। আমরা কে রক্ত দেবো, সেটা সিদ্ধান্ত নিতে হবে। দেশের জন্য সব আন্দোলন সংগ্রামে রক্ত দিয়েছি, আবারও দিতে চাই। ছাত্র যুবকরা কোথায়? যারা ৫২ সালে ৪৪ ধারা ভেঙেছে, ৬৯ কারফিউ ভঙ্গ করেছে। বৃহত্তর জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে সরকারকে হঠাতে হবে।’

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন দলের কার্যকরী সভাপতি সা কা ম আনিছুর রহমান খান। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি সদস্য ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যর আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না প্রমুখ।

Advertisement

এফএইচ/এমআরআর/এমকেএইচ