খালেদা জিয়ার মুক্তি, জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিল ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদসহ বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে রাজশাহীতে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ চলছে। রাজশাহীর মাদরাসা ময়দান সংলগ্ন নাইস কনভেনশন সেন্টারে বিএনপিকে ইনডোর সমাবেশ করার শর্তে প্রশাসন থেকে অনুমতি দেয়া হয়।
Advertisement
মঙ্গলবার (২ মার্চ) দুপুর ২টার দিকে শুরু হয় বিএনপির সমাবেশ। পার্শ্ববর্তী জেলা-উপজেলা থেকে সমাবেশস্থলে উপস্থিত হতে থাকেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। তবে সমাবেশ ঘিরে একদিন আগে থেকেই বাস চলাচল বন্ধ থাকায় দূরের নেতাকর্মীরা পড়েছেন বিপাকে। ফলে অনেক কাঙ্ক্ষিত নেতাকর্মী সমাবেশে উপস্থিত হতে পারেননি বলে জানা গেছে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু, রাজশাহী মহানগর বিএনপির সভাপতি মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলসহ অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন নেতাকর্মী ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীদের সমন্বয়ে এই সমাবেশ শুরু হয়।
এ বিষয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু অভিযোগ করে বলেন, ‘সরকার আন্দোলনের ভয়ে আগে থেকেই বিভিন্ন পরিকল্পনার মাধ্যমে বিএনপির আন্দোলনকে বিফল করার চেষ্টা করেছে। যার কারণে ইচ্ছাকৃতভাবেই একদিন আগেই যান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আজও পরিবহন বন্ধ। এজন্য অনেক নেতাকর্মী দূরদূরান্ত থেকে সমাবেশে আসতে পারেননি। বিনা বাধায় সমাবেশ করতে দিলে রাজশাহীর এই বিভাগীয় সমাবেশে গণজোয়ারের সৃষ্টি হতো।’
Advertisement
রাজশাহী মহানগর বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল বলেন, ‘শহরের সাহেববাজার জিরোপয়েন্ট, মনিচত্বর, সোনাদীঘি বা গণকপাড়া এলাকায় সমাবেশের জন্য অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেগুলোর একটিতেও অনুমতি দেয়া হয়নি। সন্ধ্যার দিকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে চিঠি পেয়েছি একেবারে ঘরোয়াভাবে সমাবেশ করার যা প্রহসনমূলক।’
এদিকে রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) মুখপাত্র গোলাম রুহুল কুদ্দুস বলছেন, ‘বিএনপি একেবারেই মধ্য শহরের রাস্তায় সমাবেশ করার অনুমতি চেয়েছিল। কিন্তু এসব এলাকায় সমাবেশ করলে মানুষের চলাচল বাধাগ্রস্ত হবে। তীব্র যানজট দেখা দেবে। এ জন্য মধ্যশহরে সমাবেশের অনুমতি দেয়া হয়নি। আইন-শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে তাদের ইনডোরে সমাবেশ করার অনুমতি দেয়া হয়েছে।’
তিনি যোগ করেন, ‘তারা যেন প্রস্তুতি নিতে পারে সে জন্য মৌখিকভাবে আগাম তাদের জানিয়ে দেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে সন্ধ্যার মধ্যে তাদের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।’
Advertisement
আরএমপির মুখপাত্র আরও বলেন, ‘সমাবেশ ঘিরে কোনো প্রকার অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয় সে জন্য মোতায়েন করা হয়েছে পর্যাপ্ত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।’
বাস চলাচল বন্ধের বিষয়ে গতকাল সোমবার রাজশাহী জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মাহাতাব হোসেন চৌধুরী বলেছিলেন, বগুড়ায় এক পরিবহন শ্রমিককে মারধর করা হয়েছে। এর প্রতিবাদ এবং জড়িতদের গ্রেফতারের দাবিতে বাস বন্ধ রেখেছেন পরিবহন শ্রমিকরা। এটি তাদের পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি। তবে দূরপাল্লার বাস চলাচল করছে।
এসজে/এএসএম