বান্দরবান জেলার চিম্বুকের নাইতং পাহাড়ে বিলাসবহুল হোটেল ও বিনোদন কেন্দ্র নির্মাণের নামে ম্রো আবাসভূমি দখলের প্রতিবাদে রাজধানীতে সংহতি সমাবেশ ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি পালন করছে চিম্বুক পাহাড় ম্রো ভূমি রক্ষা আন্দোলন। এতে সংহতি জানিয়েছে বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম ও কাপেং ফাউন্ডেশন।
Advertisement
মঙ্গলবার (২ মার্চ) সকাল ১০টায় রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘর সংলগ্ন এলাকায় সমবেত হন আদিবাসীরা। তাদের হাতে ছিল ‘নাইতং পাহাড় বাঁচাও’, ‘প্রকৃতি বাঁচাও’, ‘প্রকৃতি ধ্বংসকারী প্রকল্প বাতিল কর’, ‘পর্যটন ও উন্নয়ন এক বিষয় নয়’, ‘আমাদের জীবিকার উৎসে হস্তক্ষেপ চাই না’, ‘বন-ছড়া না বাঁচলে প্রকৃতি বাঁচবে না’, ‘তোমাদের পর্যটন ব্যবসা আমাদের মরণদশা’ ইত্যাদি লেখা প্ল্যাকার্ড।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক কমিটির সভাপতি গৌতম দেওয়ান। সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং এবং স্মারকলিপি পাঠ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস।
এছাড়া সমাবেশে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখার কথা রয়েছে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা, নাট্যকার মামুনুর রশিদ, সাবেক সংসদ সদস্য উষাতন তালুকদার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম, ঐক্য ন্যাপের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ ভূঁইয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক মেজবাহ কামাল, এএলআরডির নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা, বেলার নির্বাহী পরিচালক সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, নাট্যকার আফজাল হোসেন, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক সদস্য নিরুপা দেওয়ান, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, জাতীয় আদিবাসী পরিষদের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ সরেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বনভূমি অধিকার আন্দোলনের জুয়া মলিয়ান আমলাই বম, আদিবাসী যুবক ফোরামের আহ্বায়ক অনন্ত বিকাশ ধামাই এবং আদিবাসী ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অলীক মৃ-এর।
Advertisement
এমইউ/এসএস/জিকেএস